ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নোবিপ্রবির শান্তিনিকেতন

তরিকুল শাওন
🕐 ১:৩৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মূলফটক পেরিয়ে হাতের বাম পাশে শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য, প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন ১ ও ২ এবং হাতের ডান পাশে বঙ্গবন্ধুর মোড়াল, আকাশমণির হাট, অডিটোরিয়াম ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ রেখে মুক্তিযুদ্ধ চত্বর পেরিয়ে হতাশা মোড় হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ময়নাদ্বীপ সংলগ্ন কলঙ্কিনী রোডের ব্যকলগ বনে অবস্থিত ছোট্ট একটি চায়ের টঙ দোকান। এই চা দোকানের নামই শান্তিনিকেতন। নামের পেছনে অবশ্য কারণ আছে একটা। অপেক্ষাকৃত কম গাছপালার ক্যাম্পাসে একটু ছায়ার খোঁজে এখানটায় ছুটে আসা মানুষকে দক্ষিণা সামুদ্রিক বাতাস স্বস্তি দেয় বলেই এই নামকরণ।

বাইরের মানুষের কাছে এটি নিতান্তই একটা চা দোকান; কিন্তু নোবিপ্রবিয়ানদের কাছে এ এক বিশেষ স্থান। কারণ এই চা দোকানকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠছে ক্যাম্পাস জীবনের নানান স্মৃতি।

একপাশে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, সালাম হল, মালেক উকিল হল ও খাদিজা হল। অন্যপাশে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, একাডেমিক ভবন ১, ২ এবং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা হল হওয়ায় ছেলে মেয়ে উভয়েই আসে আড্ডা দিতে চা, সিগারেট খেতে। আবার কেউ কেউ আসে সূর্যাস্ত দেখতে। বইপ্রেমী শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে শান্তিনিকেতনে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট্ট একটি পাঠাগার ‘আনন্দ নীড়’। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থাকে সকলের জন্য উন্মুক্ত। শর্ত একটাই পড়া শেষে বই রেখে দিতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে।

বইপ্রেমীদের আনাগোনা, দর্শনার্থীদের পদচারণা, ক্লাসের ফাঁকে গিটারের ঝংকার, ইনিংস বিরতি বা ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের তর্ক, অবসাদগ্রস্ত মন নিয়ে চারঘণ্টার যুদ্ধ শেষে পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে আসা ব্যকলগারের আফসোস কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার হাজারো স্বপ্নের নীরব সাক্ষী নোবিপ্রবির এ শান্তিনিকেতন।

 
Electronic Paper