স্বপ্নময় রঙিন বিদায়
আখতার হোসেন আজাদ
🕐 ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এইতো মাত্র কদিন আগে ভর্তিযুদ্ধে উত্তীর্ণ হয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম ব্যাচ হিসেবে সকলের বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায় পদার্পণ করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি পরিবারের মতো করে থেকে মুহূর্তেই যেন কেটে গেল চারটি বছর! গত ২২ অক্টোবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দ ও বেদনাময় একটি দিন।
সকালের মৃদু রোদে প্রিয় ক্যাম্পাসে আগমন; মুখে হাসি থাকলেও প্রত্যেকের মনের গভীরে অজানা এক বেদনার ছাপ। সকলের পরিধানে ধবধবে সাদা টি-শার্ট! প্রিয় বন্ধুটির আবেগিত লেখায় মূহুর্তেই কালো কালিরবাক্যে ভরে গেছে প্রত্যেকের টি-শার্ট। ভালো থেকো বন্ধু, জীবনে অনেক বড় হও ইত্যাদি। কেউবা আবার দুষ্টুমি করে লিখেছে, তুই অনেক বদ ছিলি রে। এভাবেই চলতে থাকে কিছুক্ষণ।
১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা পরেশ চন্দ্র বর্মন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী, আসাদুজ্জামান, মতিনুর রহমান, রোখসানা মিলি, গোলাম মর্তুজা ও সেলিম স্যারকে সাথে নিয়ে আমরা কেক কাটি। আমাদের স্নাতক শেষ করার আনন্দের ঢেউ লাগে প্রিয় শিক্ষকদের মধ্যেও; একে অপরকে কেকের পেস্ট মাখানোর পরে ছবি তুলতে শুরু করেন শিক্ষার্থীদের সাথে।
তাদের নেই কোনো ব্যস্ততা, কোনো ক্লান্তি! দিনটি যেন আমাদের জন্যই উৎস্বর্গ করেছিলেন! গোলাম মর্তুজা স্যারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমাদের ব্যাচ সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কি? তিনি গর্বের সাথে বললেন, আমার শিক্ষকতা জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যাচ এটি। কেক কাটা, ছবি তোলার পর্ব শেষে ব্যান্ড পার্টির তালে তালে আমরা একে অপরকে রং মাখাতে মাখাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বর প্রদক্ষিণ করে আনন্দ র্যালি করি। দেখতে দেখতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে এলো, আমরা কেউ টেরই পেলাম না।
এদিকে হাফিজ গেছে খাবার আনতে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে জানালো খাবার আসতে আরো বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে। সকলের মনে একটু ক্লান্তি ও বিরক্তির ছাপ লক্ষ্য করলাম।