বাকৃবিতে আনন্দময় দিন
হাবিবুর রনি ও তানিউল করিম জীম
🕐 ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৯
উৎসবটি ছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফিস্ট। এই ফিস্ট মানে শুধু যে বড়সড় কোনো ভোজন তা কিন্তু নয়, বরং সঙ্গে যুক্ত থাকে সীমাহীন আনন্দ আর হইহুল্লোড়সহ আরও কত কী! তিন দিন ধরে চলে এ ফিস্টের আনুষ্ঠিকতা। হঠাৎ ক্যাম্পাসের চারদিকে চমৎকার ও ভিন্নমাত্রিক আঁকাআঁকি চলছে। আল্পনাগুলোতে বর্ণিল বিভিন্ন রঙ স্থান পাওয়ায় তা ক্যাম্পাসকে করেছে রঙিন, যা সবার মন কেড়েছে। এছাড়া পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন চিত্র সংবলিত মজার মজার পোস্টার ও ব্যানার স্থান পেয়েছে। যার মাধ্যমে জানানো হচ্ছে বড় কোনো উৎসবের আয়োজন হতে চলেছে ক্যাম্পাসে। যেখানে সবাইকে নিমন্ত্রণও করা হয়েছে। উৎসবটি ছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফিস্ট।
এই ফিস্ট মানেই যে শুধু বড়সড় ভোজন তা কিন্তু নয়, সঙ্গে যুক্ত থাকে সীমাহীন আনন্দ আর হইহুল্লোড়। তিন দিন ধরে চলে এ ফিস্টের আনুষ্ঠানিকতা। আনুষ্ঠানিকতা তিন দিনের হলেও তার আয়োজন চলে ১৫ দিন আগ থেকেই। ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছে ফিস্টের ওই তিন দিন হলো বিশ্ব বিদ্যালয়ের এই এক বছরে কাটানো সবচেয়ে মধুর সময়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেক কাটার মাধ্যমে ফিস্টের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। সবাই মিলে কেক খাওয়া শেষে শুরু হয় আঁতশবাজি ও ফানুশ উড়ানো। তারপর সবাই বাঁশি হাতে প্যাঁ-পুঁ আওয়াজ করতে করতে রাতেই একটি র্যালি বের করা হয়। ফিস্টের দ্বিতীয় দিনটিও কাটে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
এ দিন আয়োজন করা হয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ৬টি দল গঠন করা হয়। দলগুলোর নামও বেশ অদ্ভুত। ঈগল আইস, বেঙ্গল টাইগারস, রাইজিং স্টার এক্সআই, চ্যালেঞ্জারস, ম্যাড ওলভস, বাউন্ডারি ব্লাস্টারস নামক কী সব বিধ্বংসী নাম। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি ব্লাস্টারস ও বেঙ্গল টাইগারসের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে বেঙ্গল টাইগারস বাউন্ডারি ব্লাস্টারসকে পরাজিত করে এবং সিরিজ জিতে নেয়। রাতে খাবারের বড়সড় আয়োজন করা হয়। সিনিয়র-জুনিয়র মিলে প্রায় ১৫০ জন গ্র্যান্ড ডিনার নামক ভোজনে অংশ নেয়। তবে শুধু যে আনন্দ-ফুর্তি, খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে ফিস্ট উদযাপন করা হয়, তা কিন্তু না। এর মাঝেও কিছু ভালো কাজ করে তারা।
ফিস্টের তৃতীয় দিন সকালে ওই হলের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সবাই মিলে হলের চারপাশে বৃক্ষরোপণ করে। এরপর শুরু হয় রঙের খেলা। ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা সবাই সাদা পোশাক পরে আবির দিয়ে রঙ খেলায় মেতে উঠে। ওই দিন রাতে এক জমকালো কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
এভাবেই শেষ হয় ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হল জীবনে কাটানো মধুময় তিনটি দিন। ফিস্ট শেষ হয়ে গেলেও তা ওদের স্মৃতিতে রয়ে যাবে আজীবন।