আত্মপ্রত্যয়ীর গল্প...
কামরুল হাসান শাকিম
🕐 ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় হয়, কখনো ছাড়িয়ে যায় নিজের এই স্বপ্নকে। স্বপ্নের চেয়ে প্রাপ্তির ঝুড়িটা বড় হয়ে ধরা দেয় বাস্তবে। জয়ী হয় স্বপ্ন আর জয়ী হয় স্বপ্নচারী মানুষগুলো। তেমনই এক স্বপ্নজয়ী ফাতেমা আক্তার। নাম ফাতেমা আক্তার হলেও ডাক নাম জেনি নামেই বেশি পরিচিত তিনি।
জেনি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অন্য আট দশজনের মতোই চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
জেনির বাড়ি ফেনী জেলার সদর উপজেলায়। বাবা মো. ফারুক ভূইয়া পেশায় একজন ঠিকাদার এবং মা সেলিনা আক্তার পেশায় একজন গৃহিণী। চার ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় জেনি। স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে। স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না- ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামের বিখ্যাত সেই উক্তির মতোই ছিল জেনির জীবনের স্বপ্ন কিংবা স্বপ্নের জীবন। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় এবং স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বর্তমানে একই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ফাতেমা আক্তার জেনি। পড়াশোনায় যার এত এত সফলতা তা তো জানতেই হবে। মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে নানান প্রতিবন্ধকতা আমাদের সমাজে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এর মাঝেও কীভাবে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন জেনি? এবার মনযোগী হয়েই জানালেন, ‘কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না পরিবার থেকে। যেকোনো প্রয়োজনে বাবা সর্বদা এগিয়ে আসতেন।
এটা সত্য যে মেয়ে বলে অনেকে খুব ভালো ফলাফল করলেও পরিবার থেকে যতটা পাওয়ার কথা ছিল, ততটা সাড়া পায় না। বরং আমি তার চেয়ে হাজারগুণ বেশি পেয়েছি।’ নিজের স্বপ্ন পূরণের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুনদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম দিন থেকেই ঠিক করতে হবে আসলে আমি কী করতে চাই। কারিকুলাম-ভিত্তিক পড়ালেখার পাশাপাশি বাইরের জগত সম্পর্কে জানতে হবে। বিভিন্ন রকম এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসের সঙ্গে জড়িত হতে হবে। তবে পড়াশোনাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।’