ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

কেএম হিমেল আহমেদ
🕐 ১২:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৯

দেখতে দেখতে একযুগে পদার্পণ করল (বেরোবি)। ২০০৮ সালে প্রথমে রংপুর শহরের টিচার্স টেনিং কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ৪টি বিভাগ নিয়ে চালু হয় রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মর্ডান পার্কের মোড়ে ৭৫ একর জমির ওপর স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রাক্তন ও বর্তমান কয়েক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য ও অগ্রগতি এবং তাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে লিখেছেন- কেএম হিমেল আহমেদ

মুন্নী আক্তার 

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে ক্যাম্পাসে প্রথম পা রাখি ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ। সেই দিনের ক্যাম্পাস আর এই দিনের ক্যাম্পাসের মধ্যে যে কতটা তফাৎ সেটা লোকমুখেই শোনা যায়। প্রথম দিকে ক্যাম্পাসে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার মতো জায়গা খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল ছিল। আর এখন গাছপালার শীতল ছায়ায় ক্যাম্পাস যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। আজ থেকে এক বছর আগেও আমাদের বিভাগে মাত্র ৪ জন শিক্ষক ছিলেন, আর এখন সব মিলে প্রায় ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক যে পরিবর্তন তা সত্যি অতুলনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আজ অনেকেই অনেক ভালো ভালো জায়গায় আছেন।

রুম্মান বিশ্বাস
ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
আমি মনে করি (বেরোবি) উত্তরবঙ্গের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি মশালবাহক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদ অঞ্চলের অনেক শিক্ষার্থী একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে পেরে গর্বিত বোধ করি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের অনুষদের শিক্ষকদের আদর্শিক জ্ঞান এবং সহযোগিতা বিশ্বব্যাপী যা আমাদের দেশের শীর্ষ সর্বাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো দক্ষ করে তোলে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে চাকরির বাজারে প্রমাণ করেছে যে, ‘আমরা একটি ছোট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নই, আমরা ওয়ার্ল্ডক্লাসের জ্ঞানভঙ্গিতে ভরা একটি ছোট ক্যাম্পাস থেকে এসেছি।

মারুফ ভূইয়া
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
যদিও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজটের কালো অভিশাপে অভিশপ্ত, তবে আশার আলো যে, এই সমস্যা থেকে বর্তমানে অনেকাংশে বের হয়ে আসছে বেরোবির শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে দেশের বাইরে বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা আর গবেষণার কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন, যা আমাদের জন্য গর্বের। যদিও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার একযুগে সদ্য পা রেখেছে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আশানুরূপ উন্নয়নের দেখা না মিললেও উন্নয়নের দৃঢ়প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কিছু সমস্যাকে সঙ্গী করে, যা সমাধানে হয়তো আমরা আরও বেশি আলোকিত হব। সমস্যাগুলো দূরীকরণ হওয়া অতীব দরকার বলে আমরা মনে করি। সাময়িক উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলো দূরীকরণ হলে বেরোবি আরও দ্রুত দেশের অন্যতম আদর্শিক বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

শাফি সৌরভ
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ
মনুষ্যত্বে-মূল্যবোধে, শিক্ষায়, গবেষণায় বিশ্ব নাগরিক তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির ভৌগোলিক অবস্থানও অনেক সহায়ক। যেখানে সমস্যা বেশি সেখানে সমাধানের সুযোগ বেশি, শেখার সুযোগও বেশি। তাই সমস্যা কিছু আমাদের আছে যেমন- সেশন জট, আবাসন সমস্যা, শিক্ষক সংকট। আশাকরি সেশন জট কমিয়ে আনতে পারলে আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে আর কোনো অংশে কম থাকব না। গবেষণা, চাকরি কিংবা উচ্চশিক্ষায় আমাদের মেধাবীরা এগিয়ে যাচ্ছে, এই এগিয়ে যাওয়া হোক নিরন্তর।

 

 
Electronic Paper