স্বপ্নবাজ তরুণদের ভাবনা
উমর ফারুক
🕐 ১২:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
যদিও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত! তবুও কে না চায় একটি ভালো মানের চাকরি! একজন শিক্ষার্থী যখন স্কুল, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তখন সে তার স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে। ছাত্র জীবন থেকেই একজন সচেতন শিক্ষার্থী তার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করে। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের তেমনি কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ শিক্ষার্থীর কথা নিয়ে লিখেছেন- উমর ফারুক
ছোটবেলা মা-বাবা ঠাট্টাচ্ছলে জিজ্ঞেস করতো তুমি বড় হয়ে কি হবে? চার-পাঁচ বছরের শিশুর কাছে এই প্রশ্নের সীমা-পরিসীমা নেই। তখনো বুঝতাম না তবুও বলেছিলাম বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হবো। বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা! যুদ্ধ করেছেন দেশের জন্য। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে স্বদেশের প্রতি দেশাত্মবোধকে ধারণ করে মাটি ও মানুষের সেবা করতে চাই। পুলিশ বাহিনী হচ্ছে একমাত্র মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে সমষ্টি পর্যায়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ আছে। সমাজ থেকে সকল দুর্নীতি বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চাই। ক্যারিয়ার নিয়ে এমন ভাবনার কথা বলছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী দেওয়ান রবিউল ইসলাম। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ভবিষ্যতে ভালো চাকরি কার না দরকার? বাবা স্বপ্ন দেখতো আমি একদিন বড় বিচারপতি হবো।
সেই লক্ষ্যে নিয়ে এগিয়েছি এবং ভবিষ্যতে বাবার লালিত স্বপ্নকে পূরণ করতে থেমে নেই পথচলা। কথাগুলো বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুল জাওয়াদ। সকল পেশা থেকে শিক্ষকতা পেশা সকলের কাছে সম্মানের বটে! দেশ গড়ার কারিগর তৈরি করার কাজ এই পেশা থেকে তৈরি হয়। কেননা শিক্ষকরা সমাজের আলোকবর্তিকা। অন্ধকারে থাকা মানুষগুলোকে আলোকিত করে শিক্ষার আলোয়। আমিও সে দিকেই অগ্রসর হবো এবং শিক্ষার আলোয় সমাজ তথা দেশকে আলোকিত করতে চাই এমন ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গড়ার কথা জানালেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মানিক রায়হান বাপ্পী। সদ্য অনার্স পাশ করা ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রমজান আলী তার ক্যারিয়ার গঠন সম্পর্কে বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার স্বপ্ন ছিল বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করব এবং সে পথেই এগিয়েছি।
যেহেতু রেজাল্টে বিভাগের ভালো অবস্থানে আছি সেহেতু শিক্ষক হওয়ার দিকেই বেশী আগ্রহ। তাছাড়া জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবদান অনেক বেশী ; আমিও তার অংশীদার হতে চাই।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মনির হোসাইন বলেন, একাডেমিক পড়শোনা পাশাপাশি সরকারী চাকুরী পড়াশোনা করছি। স্বপ্ন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার কেননা দেশের মানুষের খুব কাছে থেকে সেবা করার উত্তম প্লাটর্ফম। পাশাপাশি অন্যান্য চাকরী জন্যও চেষ্টা চলমান। সদ্য মাস্টার্স পাস করা গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আকলিমা আক্তার বলেন, ‘দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠে অধ্যয়ন করেছি সেহেতু সবারই প্রত্যাশা বড় কিছু করবো। বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার পাশাপাশি অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে।’
একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। আমার লক্ষ্যে মানুষের সেবা করা। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষের কথা তুলে ধরবো।
যেহেতু সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন করছি সেহেতু ক্যারিয়ার হিসেবে সাংবাদিকতা দিকে বেশি আগ্রহী। বর্তমানে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা ভালো অবস্থানে আছে তাছাড়া অনেকেই পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বেছে নিচ্ছে। বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরি জন্যও চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিশ^বিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ রাফসান জনি।