ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হোমায়রার আঁকিবুকি স্বপ্নের গল্প

জিনাত পারভীন বৃষ্টি
🕐 ২:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৯

কালার পেপার, কাঁচি, আঠা, রঙ, তুলি, কাঠ এসবে ভর্তি তাঁর রুম। রাতভর কাজে ব্যস্ত। পরদিন ক্রেতার অর্ডার ডেলিভারি দিতে হবে। আর এভাবেই দিনরাত পার হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হোমায়রা জাহানের।

হোমায়রা পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষে। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে ক্রাফটের ও হস্তশিল্পের কাজ। প্রথম দিকে কার্ড, গিফট আইটেম বানিয়ে উপহার দিত বন্ধুদের।

২০১৭ সালে ফেসবুকে একটা পেজ খোলে হোমায়রা। পেজের নাম দেওয়া হয় ক্রাফট ড্রাফট। সেখানে কাজের অর্ডার পেতে থাকে। সঙ্গে বাড়তে থাকে কাজ। ফেসবুকে দ্রুতই রীতিমত ভালো সাড়া পেয়ে যায়। ক্রাফট ড্রাফট থেকে বড় পরিসরে তৈরি হয়েছে ফেসবুক পেজ মাত্রাবৃত্ত। ক্রেতারা সাধারণত ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী।

এর বাইরে যারা অর্ডার করে তাদের কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি করে। তার পণ্যের মধ্যে রয়েছে জন্মদিনসহ বিভিন্ন দিবসের কার্ড, গিফট আইটেম ও হাতে তৈরি গহনা। ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখে ক্যাম্পাসে স্টল নিয়ে বসেন তিনি। তখন হোমায়রার সঙ্গে কাজ করে আরও কয়েকজন সদস্য।

তারা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দিব্যেন্দু বিশ্বাস, একই বিভাগের মেহজাবিন জাহান, শাওন হাসান ও আইবিএর মহিবুল হক।

হোমায়রা বললেন, প্রথমে পরিবারের পুরো নিষেধাজ্ঞা ছিল এই ব্যাপারে। তাছাড়া মূলধনও ছিল না তেমন। তবুও টুকটাক কাজ করতে থাকলাম। বর্তমানে আমার কাজের জায়গা দেখে পরিবার থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পাই। বর্তমানে আমার সঙ্গে আমার ছোটবোন সুমাইয়াও কাজ করছে। সুমাইয়া গ্রামের বাড়িতে প্রোডাক্টের অর্ডার নেয়। কাজ করে সেগুলো গ্রামেই ডেলিভারি করে। যে কাজগুলো পাই তা থেকে হাত খরচটা উঠে যায়। আর ভালো সাড়াও পাই।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে যে হস্তশিল্প মেলাগুলো হয় সেখানে অংশগ্রহণ করতে চাই। আর ছোটবোন সুমাইয়াকে নিয়ে হস্তশিল্পের জায়গাটা বৃদ্ধি করে একটি শোরুম খুলতে চাই। যেখান থেকে আমরা ক্রেতাদের মানসম্মত পণ্য উপহার দিতে পারি।

 
Electronic Paper