জল রঙের তরুণ রাশেদ
ছাইফুল ইসলাম মাছুম
🕐 ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯
শৈশব কেটেছে অন্য দশটা গ্রাম্য ছেলের মতোই দুরন্তপনায়। মাঠে ময়দানে দৌড়ঝাঁপ, গাছ থেকে পুকুরে লাফানো। বাড়ি পালিয়ে সিনেমা দেখা ছিল তার স্বভাব। গ্রামের সেই দস্যি ছেলে রং তুলিতে শিল্পী হয়ে উঠবেন, দেশ-বিদেশে নাম কুড়াবেন, এমটি হয়তো কেউ ভাবেনি। সে নিজেও না। বলছিলাম জল রঙের তরুণ শিল্পী রাশেদের কথা।
পুরো নাম রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা বগুড়া জেলায়। শিক্ষা জীবন শুরু হয় বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, পরে জাহাঙ্গীরাবাদ থেকে এসএসসি, বগুড়া আর্ট কলেজ থেকে বিএফএ (প্রি-ডিগ্রি) পাস করেন। ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং নিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বর্তমানে রাশেদ কাজ করছেন জলরং, এ্যাকরেলিক ও মিক্স মিডিয়ায়। তবে এসব মাধ্যমের মধ্যে জলরংটা তার বেশি পছন্দ। দেশে ও বিদেশে বহু জায়গায় প্রদর্শনী হয়েছে। তবে ২০০৭ সালে নারায়ণগঞ্জ আর্ট কলেজের বার্ষিক প্রদর্শনী, ২০১০-২০১৪ পর্যন্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের বার্ষিক প্রদর্শনী, ময়মনসিংহে জয়নুল আবেদীনের জন্ম বার্ষিকী ২০১০-২০১৭। জলের ধারা আর্ট এক্সজিবিশন ২০১০-২০১৬। শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রুপ চিত্র প্রদর্শনী, শিল্পী যামিনী রায় চিত্র প্রদর্শনী, গ্রুপ আর্ট প্রদর্শনী, ছবিশালা, বটতলা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ প্রদর্শনী, বাংলাদেশ-জাপান ফ্রেন্ডশিপ প্রদর্শনী, বাংলাদেশ-ভারত চিত্র প্রদর্শনী-২০১৮। আন্তর্জাতিক জলরং প্রদর্শনী বলিভিয়া ২০১৭, দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক জলরং প্রদর্শনী নয়াদিল্লি ভারত ২০১৭, ফ্রেব্রিয়ানো আন্তর্জাতিক জলরং প্রদর্শনী ইতালি-২০১৮। আন্তর্জাতিক জলরং প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৮। প্রথম একক প্রদর্শনী নেপাল-২০১৮ (জলরং)।
শিল্পী হওয়ার শুরুর গল্প জানতে চাইলে রাশেদ জানান, আমি ছোট বেলায় ছবি আঁকা শিখতে যেতাম নৃত্য ছন্দন আর্ট একাডেমিতে। মফিজ পাগলা মোড়, বগুড়ায়। তখন আমি ৩য়/৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। ভালো লাগতো ছবি আঁকতে। ২০০২-২০০৩ সালে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় ছোটদের জন্য সবুজ আসরে আমার ছবি ছাপিয়েছে। আসলে তখন তো আর জানতাম না যে ছবি আঁকার ওপরে পড়াশোনা করা যায় আর ভবিষ্যতে আমি শিল্পী হবো। আমার ছবি অঁকতে ভালো লাগতো তাই আঁকতাম। এসএসসির পর আমার পাশের বাড়িতে এক বড়ভাই থাকেন তাকে আমার আঁকা ছবি দেখালাম। তিনি তখন বগুড়া আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেন। ২০০৪ সালে বাবাকে নিয়ে গেলাম বগুড়া আর্ট কলেজে ভর্তি হতে। বাবা সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন আমার কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারের সঙ্গে কথা বলে ভর্তি করে দিলেন সেই থেকে ছবি আঁকা শুরু।