ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জলে ভেসে উচ্ছ্বাস

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
🕐 ১:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৭, ২০১৯

নদীর বুকে তখন সূর্য খেলা করছে ঢেউয়ের সঙ্গে। সকালের মিষ্টি আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাক পরে দলবেঁধে সদরঘাটের লঞ্চে আসতে শুরু করেছে এমসিজিয়ানরা।

সকাল ১০টার দিকে হুইসেল বাজিয়ে প্রায় ৪০০ জন যাত্রী নিয়ে চলতে শুরু করেছে লঞ্চ। গন্তব্য চাঁদপুরের মেঘনার চর। বলছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বার্ষিক নৌবিহারের কথা। সেদিন এই বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সঙ্গে ছিলেন বিভাগের শিক্ষক ড. নিসতার জাহান কবির, আনোয়ারুস সালাম, রাইসুল ইসলাম, ইব্রাহিম বিন হারুন, বর্ণনা ভৌমিক, জাকারিয়া খান ও মিঠুন মিয়া প্রমুখ।

লঞ্চ ছাড়ার একটু পরই দেখা গেল, মায়াময় দৃষ্টি নিয়ে কেউ বসে আছেন জানালার পাশে। কেউ প্রিয়জনকে নিয়ে বসে নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ ছাদে। কেউবা আবার এক কোণে জটলা বেঁধে সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের সঙ্গে আড্ডায় মত্ত। আবার অনেকেই লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় খোলা ডেরায় বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন। কেউ নদীকে পেছনে রেখে ছবি তুলে স্মৃতিকে ধারণ করার চেষ্টা করল।

তারপর সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেলাম। এখন যাওয়ার পালা। সদরঘাটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করল। আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখছি নদীর অপার সৌন্দর্য। ততক্ষণে অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে। তার ছায়া পড়েছে নদীর পানিতে; যেন তা দিগন্তবিস্তৃত একটি রক্তিম চাদর। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামল। আরও কিছুটা পর গাঢ় অন্ধকারে হারিয়ে গেল আকাশ।

তখন হেসে উঠল আকাশের গায়ে মিটিমিটি খুদে তারার দল। আর লঞ্চের মধ্যে চলতে লাগল ডিজে পার্টি। রাতের অন্ধকারে বিশাল নদীর ওপর ভেসে চলা লঞ্চের ছাদে গিয়ে আমরা ফানুস ওড়ালাম। এক সময় হঠাৎ ভেঁপু বাজিয়ে থেমে গেল লঞ্চ। বুঝতে পারলাম লঞ্চ এসে ভিড়েছে সদরঘাটে। তারপর ফটোফ্রেমে আটকে থাকা একরাশ স্মৃতি আর শরীরে রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে হাসিমুখে যার যার বাসায় ফিরলাম।

 
Electronic Paper