ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাস

রাসেল আহমেদ
🕐 ১২:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ০৯, ২০১৯

চারদিকে সবুজের সমারোহ। দৃষ্টিনন্দন ছোট-বড় লাল মাটির টিলা। লালমাই পাহাড়ের বুকে ধবধবে সাদা রঙের সুউচ্চ দালান। প্রকৃতির অপার লীলাভূমি লালমাই পাহাড়ে গড়ে ওঠে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশ্বের প্রাচীন শালবন বিহারের কোলঘেঁষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। অর্থাৎ এর রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য। তাই এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছর সবুজ ঘেরা লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাসে ভর্তি হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থীরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, শিক্ষকদের ডরমেটরি, ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হল, কেন্দ্রীয় মসজিদ, শহীদ মিনার, ক্যাফেটেরিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ ছোট-বড় লাল মাটির টিলা নিয়ে সাজানো হয়েছে ৫০ একরের ক্যাম্পাসটি।

২০০৬ সালের ২৮ মে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমে সাতটি বিভাগ নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে ১৯টি বিভাগ রয়েছে এবং প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থী এতে অধ্যয়ন করছে। কলা অনুষদের অধীনে তিনটি বিষয়; ইংরেজি, বাংলা এবং প্রত্নতত্ত্ব।

এ ছাড়াও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, লোকপ্রশাসন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ। আইন বিভাগ নিয়ে আইন অনুষদ। ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সব বিষয়ই আকর্ষণীয়। রয়েছে ফিন্যান্স, ব্যবস্থাপনা বিভাগসহ আরও কয়েকটি বিভাগ।

বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- আইসিটি, সিএসইর মতো বিষয়। যেখান থেকে অনেকেই গড়ছেন ভালো ক্যারিয়ার। এ ছাড়া পদার্থবিজ্ঞান ও বায়োলজি, গণিত, পরিসংখ্যান, ফার্মেসি বিভাগ তো রয়েছেই।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষায় সুনামের সহিত পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখে চলছে। পঠন-পাঠন ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাস খ্যাত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

 
Electronic Paper