ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুয়াকাটায় ইবির ট্যুরিজম বিভাগ

তোফাজ্জল এইচ সুজন
🕐 ২:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ০২, ২০১৯

খুব ভোরে এখন আর ঘুম থেকে ওঠা হয় না। সূর্য মামার উঁকিগুলো যেন প্রতি নিয়ত খুব মিস করি। এবার সূর্য মামাকে দেখার চেষ্টায়। তবে একা নয়। আছি আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সবাই। সবার ইচ্ছেতেই ঠিক হলো নয়নাভিরাম সূর্য দেখার অলৌকিক স্থান সাগরকন্যা কুয়াকাটা যাওয়ার। যা ভাবনা তাই, ঠিক হয়ে গেল।

অধীর আগ্রহে রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাত্রা শুরু করলাম। ভ্রমণটাকে প্রাণবন্ত করতে সঙ্গে ছিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফীন, বিভাগের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম রাকিব, শরিফুল ইসলাম জুয়েল এবং জেসমিন আক্তার। যাত্রাপথে বাসে সবার হৈ-হুল্লোড় আর গানের তালে তালে নাচ করতে করতে রাতের শেষাংশে এসে গেলাম। ক্লান্ত শরীরে কখন যে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

হঠাৎ ব্রেক কষার শব্দ কানে আসতেই সূর্যের মিষ্টি আলো চোখে পয়ল, উঠে দেখি কুয়াকাটার প্রায় কাছাকাছি এক স্টেশন। সাউন্ড বক্সের তালে নাচতে নাচতে পৌঁছে গেলাম স্বপ্নের সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। বাস থেকে নেমেই যেন মনে হলো সমুদ্রের বিশালতায় প্রকৃতির সৌন্দর্যকে যেন ঘনীভূত করেছে এখানে। আগে থেকে ঠিক করা হোটেলে সবাই ঘণ্টাখানেক বিশ্রামের পর বিচে নেমে পড়লাম। ফুটবল খেলায় চেয়ারম্যান স্যারের নয়া কৌশলে রফিক ও জুয়েল স্যারকে হারিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন। এখন এই ট্যুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের অংশ হিসেবে ‘সেভ ন্যাচার’ স্লোগানকে ধারণ করে শুরু হলো বিচে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভিযান।

বাসে নাচ-গানের মধ্যদিয়ে রাত ১২টায় ক্যাম্পাসে পৌঁছলাম। আর ক্যাম্পাসে পা রাখতেই সবাইকে ছেড়ে নিজ রুমে যেতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল অবসান হয়ে যাচ্ছে সব আনন্দের দ্বার। তবে দুই দিনের এই ভ্রমণ স্মৃতির পাতায় অম্লন হয়ে থাকবে।

 
Electronic Paper