একজন উদ্যমী সংগঠকের গল্প
জান্নাতুল ফেরদৌস
🕐 ১:৪০ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৯
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব। জন্ম সাংস্কৃতিক রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। সাত ভাই তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট আহসান হাবীবের পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় কুমিল্লার শুভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
মাধ্যমিকে ছিলেন কুমিল্লা জিলা স্কুলের ছাত্র। স্কুলজীবন থেকেই তিনি ছিলেন সাংগঠনিক নেতৃত্বগুণসম্পন্ন। সংগঠনপ্রিয় মানুষটির হাত ধরেই যাত্রা হয়েছিল ক্যাম্পাসের অনেক সংগঠনের। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে বস্তুগত ও সাংস্কৃতিক অবকাঠামোর অভাব ছিল। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শুরু করতে স্বপ্রণোদিত হয়ে গড়ে তুলেছিলেন সাংস্কৃতিক অবকাঠামো।
প্রগতিশীল চর্চায় ছিলেন বরাবরই সচেষ্ট। ছাত্রজীবনের অনেকটা অংশই ব্যয় করেছেন সাংবাদিকতা, আবৃত্তি, রোটার্যাক্ট, বিতর্ক, থিয়েটারসহ নানাবিধ সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। প্রান্তিক কণ্ঠচর্চা কেন্দ্র, মুহূর্ত থিয়েটার, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি, প্রথম আঞ্চলিক সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রপাত তার হাতেই।
সেই আয়োজনের কভারেজ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রের করা প্রথম নিউজ। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় শহরে গিয়ে পত্রিকা অফিসে ফ্যাক্স করতেন নিউজ। আহসান হাবীব কাজ করেন নিজস্ব বোধ, বিশ্বাস ও স্বপ্নের তাড়নায়। সংগঠন বোদ্ধাদের নিকট তিনি অনুপ্রেরণা ও শক্তির নাম। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের মুক্তবুদ্ধির বহুমুখী চর্চা হোক, এমন প্রত্যয় থেকেই কাজগুলো করেছি। আমি শুরুটা করেছিলাম। কোনো পূর্বসূরি, দিকনির্দেশনা ও অবকাঠামো ছাড়া নানাবিধ প্রতিকূলতার বিপরীতে অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ বেশ কষ্টসাধ্য ছিল।
অনুজদের সাংগঠনিক মননসম্পন্ন হিসেবে গড়ে ওঠার পরামর্শ দিয়ে আরো যোগ করেন, ব্যক্তিকে তৈরি করে সংগঠন। ভিন্ন সংগঠনে সমবেত হয় ভিন্ন ভাবনা ও কর্মের মানুষ। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগ ও সেখানে কাজের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে আমি মানুষকে অধিকতর জানার সুযোগ পেয়েছি। এই জানাই সমৃদ্ধ করেছে আমার চিন্তাজগৎকে, গড়ে তুলেছে এই ক্ষুদ্র আমাকে।