এইচএসটিইউর ব্যাকবেঞ্চারস
তারিকুল ইসলাম
🕐 ২:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯
অদম্য ও অপ্রকাশিত মেধার সম্মিলন ঘটানোর স্বপ্ন দেখেছিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐঝঞট ব্যাকবেঞ্চারসের প্রতিষ্ঠাতা আরশাদ ফেরদৌস শুভ, রুবেল রেজা ও ফারজানা বিভা। তাদেরই হাত ধরে উঠে এসেছে বিভিন্ন সামাজিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। তাদের করা প্রথম শর্টফিল্ম ‘অন্ধকারে অন্ত্যমিল’ নিরঙ্কুশ ও নিরবচ্ছিন্ন প্রশংসা পায়।
ছাত্র শিক্ষক এবং অন্য সবার ভালোলাগার এক নতুন পাথেয় তৈরি করে এটি। এই নাটকের ‘আড়ি’ গানটি ক্যাম্পাসের প্রথম মৌলিক গান এবং পথে চলতে গিয়ে প্রায়ই গুনগুন করে গেয়ে উঠতেও শোনা যায় অনেককে।
‘ব্যাকবেঞ্চারস’ মানে পেছনের সারিতে বসে থাকা কিছু ছাত্রছাত্রী নয়, ব্যাকবেঞ্চারস মানে সমাজের উপেক্ষা করা বিষয়বস্তুতে দৃষ্টিপাত করা এক সাহসী তরুণ দল।
সমাজের হারিয়ে যাওয়া এবং পিছিয়ে পড়া সংস্কৃতি তুলে নিয়ে আসার দায়িত্বটার পাশাপাশি ব্যাকবেঞ্চারস তৈরি করছে একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন। আমাদের সমাজে কিছু সামাজিক সংগঠন আছে যারা হেল্প করে শো-অফ করে, কিন্তু এ জায়গায় এইচএসটিইউ ব্যাকবেঞ্চারস ভিন্ন মাত্রা নিয়ে এসেছে। এরা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে অনেকটা লুকিয়ে, যেমন বন্যার্তদের ত্রাণ দেওয়া, অসহায় মানুষকে সহায়তা করা, ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণসহ কোনো দুস্থ মানুষ যদি ভিক্ষা না করে নিজে কিছু করতে চায় সেখানেও সহযোগিতা করে।
স্টেজ শো ‘আনন্দ অন্বেষণ-২০১৮’ তে আকাশসংস্কৃতিকে বাইরে রেখে বাঙালিয়ানার কিছু অমোঘ নমুনা প্রদর্শন করে সংগঠনটি কবিগান, মঞ্চনাটক, গীতিনাট্য, রবীন্দ্রসঙ্গীত, মূকাভিনয়, নৃত্য এবং আরও অনেক পিছিয়ে পড়া সংস্কৃতি ও ব্যতিক্রমী থিম নিয়ে হাজির হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাতা আরশাদ ফেরদৌস শুভ বলেন, বৃহত্তর কিছু করার জন্য দরকার বড় স্বপ্ন দেখা এবং ক্ষুদ্রতর স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া। নবীনদের হাত ধরে ব্যাকবেঞ্চারস সামনের দিকে এগিয়ে যাক এবং মননের সমৃদ্ধি ঘটুক সবার। তিনি নিকট ভবিষ্যতে সবাইকে আরো সুন্দর কিছু উপহার দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।