চীনামাটির পাহাড়ে একদিন
আবুল বাশার মিরাজ
🕐 ২:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯
নেত্রকোনা জেলার উত্তর প্রান্তে গারো পাহাড়ের পাদদেশের এক জনপদের নাম। যেখানে বয়ে গেছে টলটলে জলের সোমেশ্বরী নদী আর দিগন্ত হারিয়েছে আকাশ ছোঁয়া সবুজ পাহাড়। এখানে রয়েছে অসংখ্য লাল, গোলাপি, বেগুনি রঙের চীনামাটির পাহাড়। ছোট্ট একটি জায়গার পরতে পরতে বেড়ানোর মতো অনেক জায়গা রয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে।
দুর্গাপুরের বিরিশিরি ইউনিয়নে অবস্থিত আদিবাসী সাংস্কৃতিক অ্যাকাডেমি। এ অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (গারো, হাজং, কোচ, ডালু, বানাই প্রভৃতি) জীবনযাত্রার নানা নিদর্শন। বেড়ানোর জন্য একটি অপূর্ব জায়গা।
আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কীভাবে যাওয়া যাবে তার সব তথ্য নিয়ে ফেলেছি। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তড়িঘড়ি করে ক্যাম্পাস থেকে বের হলাম। ময়মনসিংহে রেলস্টেশনে যখন পৌঁছালাম তখন বাজে ৬টা। সাড়ে ৬টায় নেত্রকোনার উদ্দেশে ট্রেন ছাড়বে।
এর মধ্যে আমরা নাশতার জন্য কিছু হালকা খাবার কিনে ট্রেনে উঠলাম। আমাদের নামতে হবে নেত্রকোনার জারিয়া নামক রেলস্টেশনে। সেখানে গিয়ে যখন পৌঁছালাম তখন বাজে প্রায় ৯টা। ট্রেন থেকে নেমে অটোতে চড়ে রওনা হলাম দুর্গাপুরের পথে।
দুর্গাপুর মোটামুটি নির্জনই বলা যাবে। শ্বেতশুভ্র চীনামাটির পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে গেছে অপরূপ নীলের উৎস সোমেশ্বরী নদী। এই নদীর নীল জলে সাদা চীনামাটির পাহাড়ের প্রতিবিম্ব যেন এক অলৌকিক সৌন্দর্যের প্রতীক। এক কথায় অসাধারণ। ইন্ডিয়া সীমান্ত চোখের সামনে। পা বাড়ালেই ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। তারপর বিজিবি ক্যাম্পের পাশে ওয়াচ টাওয়ারের মতো ছোট পাহাড়। এর নাম কমলার পাহাড়।
আমাদের হাতে সময় কম। মেয়েরা সঙ্গে আছে তাই রাত সাড়ে ৮টার আগেই আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে হবে। সময় স্বল্পতার কারণে সাগরদীঘি দেখা হয়নি। তবে যা দেখেছি তা স্মৃতিময় হয়ে থাকবে আজীবন।