চবিতে পিঠা উৎসব
রুমান হাফিজ
🕐 ৩:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
শাটল ট্রেন থেকে জিরো পয়েন্টে নেমে কাটা পাহাড়ের পথ ধরে শীত সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে হাঁটছি। বিবিএ ফ্যাকাল্টির সামনে এলে চোখে পড়ে বেশ কিছু মানুষের জটলা। আরেকটু এগিয়ে গেলেই চিন্তার অবসান ঘটে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের অনুষ্ঠান চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
দেখা যায়, উৎসবে অংশ নেওয়া জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর আলাদা আলাদা স্টল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, অঙ্গন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রথম আলো বন্ধুসভা, এবং উত্তরায়ণ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ। এই পাঁচটি সংগঠনের প্রতিটি স্টলে রয়েছে রকমারি পিঠার সমাহার। পিঠার মধ্যে- পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, ঝাল পিঠা, নারকেল পিঠা, ভাপা পিঠা বানিয়েছেন কেউ কেউ। কেউ আবার নকশা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, জামদানি, সূর্যমুখী, গোলাপি, দুধপুলি, রসপুলি, দুধরাজ, সন্দেশ, আন্দশা, মালপোয়া, পাজোয়াসহ সুন্দর সুন্দর নাম আর ভিন্ন স্বাদের কত্ত পিঠা।
দিনভর শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পুরো উৎসব। দলবেঁধে আবার কেউবা একা এসেছেন পিঠা খেতে। খাওয়া-দাওয়া, গল্প, হাসি আড্ডায় জমে ওঠে প্রতিটা স্টলেই। পিঠা খেতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। শরিফ হাসান নামের একজন জানালেন, ‘পড়ালেখার জন্য বাড়ি ছেড়ে অনেক দূরে থাকি। চাইলেই এখন মায়ের কাছে আবদার করে বসা যায় না। বাড়িতে থাকলে তো কত পিঠাই খেতাম। কি আর করা! তবে আজকের এই পিঠা উৎসবে নিজের পছন্দের কয়েকটা পিঠা খেয়েছি। অনেক ভালো লাগছে।’
পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য এখন মøান হয়ে আসছে। তবে শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে এখনো পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। অগ্রহায়ণের নতুন চালের পিঠার স্বাদ সত্যিই বর্ণনাতীত।