ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চিরি নদীর বাতিঘর

ইরফান রানা
🕐 ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯

‘চিরি নদীর বাতিঘর’ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি গ্রন্থাগার। প্রতিদিন শত শত পাঠক বই পড়তে ছুটে আসেন এখানে। বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে নিজেকে করেন বিকশিত। চিরি নদীর বাতিঘর নামের এ পাঠাগার তৈরি করেছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ড়য়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব চিরিরবন্দর (স্যাক)।

চলতি বছরের ১১ মার্চ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্যাক চিরিরবন্দর উপজেলার ডাকবাংলোর পার্শ্বে চালু করে চিরি নদীর বাতিঘর নামে গ্রন্থাগার। এখানে ১ হাজার ৬শ বই রয়েছে। এলাকার ২ শত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, উপজেলার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এ গ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক। তারা জ্ঞানের আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে ছুটে আসে এখানে। গ্রন্থাগারের পক্ষ থেকে চলে নিয়মিত পাঠচক্র, কবিতা পাঠ, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি ও নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। গ্রন্থাগারিক হিসেবে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মোকছেদ আলী। এ গ্রন্থাগারটি পরিচালনার জন্য রয়েছে একটি কমিটি। যার সভাপতি হিসেবে রয়েছেন স্যাকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাবিবুর রহমান লাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামানসহ ২১জন সদস্য।

গ্রন্থাগারটি পরিচালতি হয় উপদেষ্টা কমিটির আর্থিক অনুদান এবং সদস্যদের মাসিক চাঁদার বিনিময়ে। কথা হয় গ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক সুদীপ্তা রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চিরি নদীর বাতিঘরে হুমায়ুন আহমেদ ও জাফর ইকবাল স্যারের অসংখ্য বই, কিশোর আলো এবং বিজ্ঞান চিন্তাসহ অন্য বইয়ের মাধ্যমে আমরা পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বই পড়ার সুযোগ পাই।

 
Electronic Paper