ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শেকৃবি গবেষকদের সাফল্য

ছিয়াদ খান
🕐 ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮

মৌসুম ছাড়াই দেশীয় আবহাওয়ায় কৃত্রিম পদ্ধতিতে আম ফলাতে সক্ষম হয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক। এ জন্য তারা প্রয়োগ করেছেন ‘ফোর্সিং’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অপপ্রয়াগ করে বছরের যে কোনো সময় যে কোনো জাতের আম গাছে আম ফলানো যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।

এ সফলতা শেকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মারজিনা আক্তার রিমার।

শেকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন জানান থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা ‘ন্যামডকমাই’ জাতের ২৪টি আম গাছে ফোর্সিং পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়।

এ পদ্ধতি ব্যবহারের তিন মাসের মাথায় গাছে মুকুল আসে। আমাদের দেশে বারোমাসি ‘বারি ১১’ জাতের আম অনেক আগে থেকে প্রচলিত। কিন্তু এর ফলন অনেক কম এবং স্বাদ মৌসুমি আমের তুলনায় ভিন্ন। কিন্তু ‘ফোর্সিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে বছরের যে কোনো সময় ফল ধরানো যাবে। এর স্বাদ ও ফলন হবে মৌসুমি আমের মতোই।

ড. জামাল আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য এক নাগাড়ে সারা বছর না ফলিয়ে মৌসুম ছাড়া বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আম ফলাব। ফলে আম চাষিরা ‘অফ সিজনে’ বাড়তি দাম পাবেন। এ পদ্ধতিতে আম ফলানোর জন্য গাছের বাড়তি কোনো পরিচর্যা করতে হবে না।

গাছের ক্ষতিকর পোকামাকড় মেরে পানি স্প্রে করে পাতা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। আর হরমোন প্রয়োগ করতে হয় গাছের পাতা ও গোড়ার মাটিতে। হরমোন প্রয়োগের তিন মাসের মাথায় মুকুল আসে। আগামী বছরের মধ্যে কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তিটি পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন গবেষকরা।

 
Electronic Paper