ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তারুণ্যের নির্বাচনী ভাবনা

আলী ইউনুস হৃদয়
🕐 ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় সোয়া কোটি তরুণ জীবনে প্রথম ভোট দেবেন। এদের অনেকেই পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নির্বাচন ঘিরে তাদের প্রত্যাশা ও অনুভূতি আকাশছোঁয়া। লিখেছেন- আলী ইউনুস হৃদয়।

 

 


প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে অনেকটাই এগিয়েছে বাংলাদেশ। জাতীয় সংসদে বসে আমাদের জনপ্রতিনিধিরা আমাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করেন। এ জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে তরুণ ভোটার হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। একজন তরুণ ভোটার হিসেবে প্রথমেই চাইব দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা হোক। অনেক সময় দেখা যায়, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দেন তার অধিকাংশই ভুলে যান। প্রত্যেকে জনপ্রতিনিধি যেন নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন এটাই প্রত্যাশিত। আইন সবার ক্ষেত্রে সমান, এই ধারার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। সমাজ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে কাজ করবে। আরেকটি প্রত্যাশা দেশ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে।


অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক
জীবনের প্রথম সংসদ নির্বাচনের ভোটকার্যে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। ভাবতেই খুব উচ্ছ্বসিত মনে হচ্ছে। তরুণ ভোটার হিসেবে আমার প্রথম প্রত্যাশা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নির্বাচনে জনগণের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। ভোটাররা যেন কোনো প্রকার বাধা ও হুমকির সম্মুখীন না হন এ ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ আশা করছি। প্রার্থীদের কাছে একজন ভোটার হিসেবে প্রত্যাশা থাকবে যেসব আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে জনগণ তাদের নির্বাচিত করবেন তারা যেন সেগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করেন।


ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত হোক
চলতি বছরের শেষ তারিখে একটি বড় ধরনের বিপ্লব অপেক্ষা করছে। তা হলো, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন এবং দলীয় সরকারের অধীনে। সে অর্থে অস্থির সময়ের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি ইতিহাস রচনা করতে চলেছে। এখন কথা হলো, অবাধ নির্বাচনের সব দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়, কমিশনকে কার্যকর করতে হলে সরকার ও বিরোধী দল উভয়কে সহযোগিতা করতে হবে। অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা ছাড়া গণতন্ত্র সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা রয়েছে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।


রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক
নির্বাচন হলো এমন একটি আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়, যাকে যোগ্য মনে করে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, মনোনয়নপত্র জমা হয়ে গেছে। এই নির্বাচন নিয়ে জনসাধারণের প্রত্যাশার শেষ নেই। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন প্রতিটি স্বাধীন দেশের নাগরিকের চাওয়া। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। দেশের প্রতিটি মানুষ তার সমর্থন প্রদানের মাধ্যমে যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে বাছাই করবে। যে দলই নির্বাচিত হোক না কেন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। আমি মনে করি, নির্বাচনে জয়ী হওয়াই মুখ্য নয় বরং নির্বাচিত হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করা প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

 

 
Electronic Paper