১২ দফা দাবিতে চবির সোহরাওয়ার্দী হলে শিক্ষার্থীদের তালা
চবি প্রতিনিধি
🕐 ৫:০৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সোহরাওয়ার্দী হলে ১২ দফা দাবিতে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে তাদের এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদেরকে 'ডাইনিংয়ে খাবারের নামে বিষ খাওয়ানো বন্ধ হোক', 'স্পিড ব্রেকার নাই, জীবনের নিরাপত্তা কই', 'পানির অপর নাম জীবন', 'রিডিংরুমে পর্যাপ্ত টেবিলের ব্যবস্থা ও পড়ালেখার নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ চাই', 'সোহরাওয়ার্দী হলের পুরাতন ভবন ঝুঁকিতে, শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকিতে' ইত্যাদি সম্বলিত পোস্টার নিয়েবিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুনতাসীর সিয়াম বলেন, অনেকদিন হলো আমাদের হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রভোস্টকে বারবার বলার পরও এই সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হয়নি। যার কারণে, আমরা হল ফটকে তালা ঝুলাতে বাধ্য হয়েছি।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ওহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হলে খুবই নিম্নমানের খাবার খাওয়াচ্ছে, রুমে আসবাবপত্র সংকট, পর্যাপ্ত ওয়াইফাই নাই, সুপেয় পানির সংকটসহ ১২ দাবিতে আমরা হলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছি। আমাদের দাবি পূরণ হলে আমরা ফটক খুলে দিব।
দাবিগুলো হলো- ১. হলের অনেক রুমে খাট, টেবিল, চেয়ার ও আলমারির সংকট। (দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে হবে)। ২. দীর্ঘদিন ধরে চলা হলের রাস্তার সংস্কার কর্মকাণ্ডের দ্রুত সমাপ্ত করতে হবে। ৩. ডাইনিং এবং ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের খুবই বাজে অবস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এর মান বৃদ্ধি করতে হবে। ৪. হলে পর্যাপ্ত সুপীয় পানির সংকট (দ্রুত এই সংকট দূর করতে হবে)৷ ৫. হলের ওয়াফাই ঠিকমতো চলে না। নিরবিচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। ৬. হলের ওয়াশরুমের সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। ৭. সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠের সংস্কার এবং দ্রুত খেলাধুলার সরঞ্জামের অপ্রতুলতা নিরসন করতে হবে। ৮. শিক্ষার্থীদের চলাচলের নিরাপত্তার জন্য হলের সামনের রাস্তায় স্পীড ব্রেকার দিতে হবে। ৯. রিডিং রুমে পর্যাপ্ত বই, চেয়ার, টেবিল ও নিরবচ্ছিন্ন আলো ও ফ্যানের ব্যাবস্থা করতে হবে। ১০. টিভির রুমের বেঞ্চ ও গেস্ট রুমের সোফার সংকট নিরসন করতে হবে। ১১. হলের পানির হাউজ ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। ১২. পুরাতন ভবনে শিক্ষার্থীদের জীবনের হুমকি রয়েছে। তাই নতুন এক্সটেনশন নির্মাণ করতে হবে।
হলটির আবাসিক শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর ড. মোঃ মোরশেদুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
