রাবির প্রক্সিকাণ্ডে এক শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, বহিষ্কার ৩
রাবি প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় একজনের ভর্তি বাতিল এবং জড়িত তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্যটি জানানো হয়েছে।
আদেশে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের ভর্তি বাতিল করা হলো। এবং আহসান হাবীবকে অর্থের বিনিময়ে অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ভর্তি হতে সহায়তাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক প্রাঙ্গন, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মাহিবুল মমিন সনেট এবং একই শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হলো।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাবিতে জালিয়াতির মাধ্যমে (বদলি) চান্স পেয়ে পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হয় আহসান হাবীব। ভর্তির পরে চুক্তি অনুযায়ী প্রক্সির পুরো টাকা পরিশোধ না করায় বহিষ্কৃত এই তিন শিক্ষার্থী দ্বারা অপহরণের শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে তার মা রেহেনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে আহসান হাবীবকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির কথা স্বীকার করায় আটক হন আহসান হাবীব। এসময় তিনি প্রক্সি পরীক্ষা দিতে সহায়তাকারীদের নামও জানান সংশ্লিষ্টদের।
এঘটনার প্রেক্ষিতে ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদি হয়ে বহিষ্কৃত এই তিনজন এবং আহসান হাবীবসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের নামে মামলা করেন। এছাড়া, একইদিন প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীর মা মোছা. রেহেনা বেগম বাদি হয়ে বহিষ্কৃত তিনজনসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের নামে আরেকটি মামলা করেন। পরবর্তীতে গত ১৯ আগস্ট রাতে এ ঘটনায় জড়িত শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, শেরে বাংলা ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ এবং কর্মী প্রাঙ্গণ ও সনেটকে স্থায়ীভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।