ঢাকা, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮ আশ্বিন ১৪৩০

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শোক দিবসে হাবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ ও চিত্রাঙ্কনসহ নানা কর্মসূচি

অলংকার গুপ্তা, হাবিপ্রবি
🕐 ৪:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৩

শোক দিবসে হাবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ ও চিত্রাঙ্কনসহ নানা কর্মসূচি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে।

দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এরপর সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব ও ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য শহীদের স্মরণে কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে দিনটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোক র‌্যালি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে এসে শেষ হয়।

এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে স্থাপিত তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনবৃন্দ, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদ, হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন ও কর্মচারিদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, আজ ইতিহাসের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের দিন। বাঙালির অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। ১৯৭৫ সালের এদিনে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাত বরণ করেন। আজ তাঁর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এ হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেলসহ কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী শাহাদতবরণ করেন। আজকের এই শোকাবহ দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তাঁর সাথে শাহাদাতবরণকারী সকলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ৭৫ এর আগস্টে বিদেশে অবস্থান করার কারণে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সেবক হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তাঁরই কন্যা নিরলসভাবে, ক্লান্তিহীন যাত্রায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সুদুরপ্রসারি লক্ষ্য স্থির করেছেন। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি আর স্মার্ট ইকোনমি এই ৪টি ভিত্তির উপরেই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মোহনী নেতৃত্বে রচিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। শোককে শক্তিতে রুপান্তর করে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমাদের প্রত্যেকের উপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করি, এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ছাত্রী হলে আমলকি, আমরা ও জলপাই গাছের চারা রোপণ করেন উপাচার্য, ডীনবৃন্দ ও হল সুপারবৃন্দ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনভিত্তিক ঘটনা প্রবাহ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান। এরপর একই স্থানে অনুষদভিত্তিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনভিত্তিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা ও শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান।

এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে হাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদ জোহর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 
Electronic Paper