ঢাকা, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮ আশ্বিন ১৪৩০

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাবির উর্দু বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে সহকর্মীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৩

রাবির উর্দু বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে সহকর্মীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সামিউল ইসলাম।

অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী উল্লেখ করে বলেছেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ‘২০২২ সালের এম.এ পরীক্ষা কমিটি’র এক জরুরী সভা ছিল। উক্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. হোছাইন আহমদ কামালী এবং আমি কমিটির অন্যতম সদস্য। পরীক্ষা কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমি যথাসময়ে বিভাগে উপস্থিত হয়ে এক সহকর্মীর ব্যক্তিগত চেম্বারে অবস্থান করছিলাম।

ইতোমধ্যে বিভাগের দুইজন অফিসার এসে বলেন, বিভাগের সভাপতি পরীক্ষা কমিটির সভা করার জন্য তাঁর অফিস কক্ষে ডাকছেন। আমিসহ পরীক্ষা কমিটির সকল সদস্য বিভাগের সভাপতির কক্ষে এসে দেখি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় সভাপতি একসঙ্গে অফিসে অবস্থান করছেন।

অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, আমি পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে বিনয়ের সাথে বললাম, স্যার পরীক্ষা কমিটির সভা আপনার ব্যক্তিগত চেম্বারে হওয়ার কথা। এখানেতো প্রচণ্ড গরম। আপনার রুমে চলেন যাই। এই কথোপকথনের মধ্যেই বিভাগীয় সভাপতি ধমকের সাথে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পরীক্ষা কমিটির সভা আমার কক্ষে এবং আমার সামনেই হবে। তাঁকে বলি, আমি পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলছি। আপনার সাথে নয়। তখন তিনি চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে বলেন, আমি বিভাগের সভাপতি আমার নির্দেশে এই সভা আমার উপস্থিতিতে আমার কক্ষেই হবে।

অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে তিনি আমার সাথে তুই-তাকারি, হুকমি-ধামকিসহ মারমুখী আচরণ করে আমার ডান হাতে উপর থেকে আঘাত করেন। তখন আমি হাতে থাকা চায়ের কাপসহ টেবিলে আঘাতপ্রাপ্ত হই। ফলে কাপ ভেঙ্গে আমার আঙ্গুল কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। সভাপতির মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে তাঁর এমন আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত এবং শংকিতও বটে। বরাবরই তিনি শিক্ষকদের সাথে এমন অসদাচারণ করে আসছেন।

তবে সকল অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে অভিযুক্ত অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, আমি তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি বরং তিনিই আমাকে আঘাত করতে এসে তার হাতে থাকা চায়ের কাপ ও পিরিচ নিজেই ভাঙে। ভেঙে যাওয়া ওই কাচে লেগে তার হাত কেটে যায়। একা নয় বরং বিভাগের সবার সামনে ঘটে ঘটনাটি। উনিই আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আবার, আমি অভিযোগ পত্র দেওয়ার আগেই উনি অভিযোগ পত্র দিয়ে দিয়েছেন।

 
Electronic Paper