ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাবি উপাচার্যের হস্তক্ষেপ চাইলেন যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত অধ্যাপক

রাবি প্রতিনিধি
🕐 ১:২২ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৩

রাবি উপাচার্যের হস্তক্ষেপ চাইলেন যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত অধ্যাপক

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টিকে ‘অতিরঞ্জিত’ ও ‘অসত্য’ দাবি করে এবার উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অভিয্ক্তু সেই অধ্যাপক ড. এনামুল হক। লিখিত আবেদনে নিজের নিরাপত্তহীনতার কথা উল্লেখ করে উপাচার্যের সুবিবেচনাপ্রসূত হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন তিনি।

গতকাল রোববার (২৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে এই লিখিত আবেদন জমা দেন তিনি।

লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া ও বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাজমা আফরোজ আমার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি অতিরঞ্জিত ও অসত্য। যদিও একাডেমিক কমিটির সভা শেষে অধ্যাপক নাজমা আফরোজের সাথে অপ্রীতিকর তর্ক হয়েছিল, যার সূত্রপাত করেছিলেন ড. নাজমা আফরোজ নিজেই। তর্কের এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রনহীন, আবেগীয় অবস্থায় আমি একটি শ্রুতিকটু শব্দ উচ্চারণ করে ফেলি। যেটি কখনোই যৌন হয়রানিমূলক নয়। উক্ত ক্ষুদ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া ও নাজমা আফরোজ শুধু আমার বিরুদ্ধেই অবমাননাকর তৎপরতায় লিপ্ত নয়, বরং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমি মনে করি উক্ত ছোট একটি অপ্রীতিকর ঘটনা বিভাগেই সমাধানযোগ্য।’

নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া ও অধ্যাপক নাজমা আফরোজের নানাবিধ তৎপরতা ও বিভাগে বহিরাগত ব্যক্তিদের আনাগোনার কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। ফলে বিভাগের পঠন-পাঠনের স্বার্থে সামগ্রিক বিষয়টিতে আপনার (উপাচার্যের) সুবিবেচনাপ্রসূত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

লিখিত অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। রাবির ভর্তি পরীক্ষার ফলে এবিষয়ে এখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব না। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।

 
Electronic Paper