ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
🕐 ৩:১৭ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৩

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার মোটরসাইকেল দূর্ঘটনাটায় মস্তিষ্কের আঘাত নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা গেছেন।

মৃত্যুর ঘটনাটি ১৮ মে রাত দুইটায় সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সে ঘটে৷ এনাম মেডিকেলে পৌছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

শারমিন বুধবার (১৭ মে) রাত ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে তার বন্ধু জাহিদ হাসান অর্কের মোটরসাইকেল যোগে সন্তোষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরছিল। ক্যাম্পাসের কাছাকাছি কাগমারী (আরিফ নগর) রাস্তায় কুকুর দেখে মোটরসাইকেল চালক ব্রেক চাপলে তা নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে জানিয়েছেন সেখানে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ এতে শারমিন পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যায়। তার মাথা ফেটে প্রচুর রক্তপাত শুরু হয়। বাইক চালক জাহিদ হাসান অর্ক শুধু হাত ও পায়ে আঘাত পায়। আশেপাশে থাকা লোকজন দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শারমিনকে চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে বলেন। এরপর শারমিনকে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নেয়া হয়। মস্তিস্কের রক্তক্ষরণ না কমায়, পথে মির্জাপুরের কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন।

অবস্থায় অবনতি হতে থাকায়, ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাভারের এনাম হাসপাতালে যোগাযোগ করে চিকিৎসক এবং অপারেশন থিয়েটারের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কালিয়াকৈর পৌঁছানোর পর শারমিনকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আনুমানিক ১.০০ টার দিকে বিকল হয়ে যায়। তার প্রায় আধা ঘন্টা পর এনাম মেডিকেল থেকে অ্যাম্বুলেন্স এসে শারমিনকে সাভারে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে৷

শারমিনের বাড়ি রংপুর সদরে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ বর্ষের পরিক্ষা শেষ করে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক খোলা কাগজকে বলেন, শারমিনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। ক্যাম্পাসের বাইরে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে যাওয়া যান্ত্রিক ত্রুটি হতে পারে। এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আমাদের কিছু বলার নেই।

 
Electronic Paper