ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দর্শন বিতর্ক ধারার উদ্যোগে

ঢাবিতে বিতর্ক উৎসব

তৌফিকুল ইসলাম
🕐 ৭:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৮

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও দর্শন অনুরাগীদের অংশগ্রহণে এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো বিশ্ব দর্শন দিবস। গত ১৫ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ উপলক্ষে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এদিকে বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিতর্ক ধারার উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ৩য় আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এ আয়োজনে গত ১৩ নভেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, খুলনা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় পর্যায়ে ৩০টি দলের অংশগ্রহণে এ বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর ছিল মিনিস্টার এবং গণমাধ্যম সহযোগী ছিল দৈনিক খোলা কাগজ।
গত ১৫ নভেম্বর ফাইনাল বিতর্কে ঢাবির ফিন্যান্স বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাবির মার্কেটিং বিভাগ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম হারুনার রশীদ, আইন বিভাগের শিক্ষক এ বি এম আশরাফুজ্জামান, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এস এম রাকিব সিরাজী ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আলমুতী (আসাদ)। দর্শন বিতর্ক ধারার সাধারণ সম্পাদক অনিন্দ্য জাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দর্শন বিতর্ক ধারার সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান।
বিতর্ক উৎসবের বেশিরভাগ টপিকই ছিল দর্শনকেন্দ্রিক। যা দর্শন নিয়ে জানার ক্ষেত্রে বিতার্কিকদের উৎসাহিত করেছে। ফাইনাল বিতর্কের টপিক ছিল ‘ব্যক্তির মুক্তি বস্তুবাদে নয় ভাববাদে নিহিত’। যুক্তিতর্কের বেশ জমজমাট উপস্থাপনে ফাইনাল বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়।  
বিতর্ক উৎসবে স্পিকার অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের তানভীর হোসেন শান্ত। তিনি এ আয়োজন সম্পর্কে বলেন, চমৎকার আয়োজন। আসছে বছর আবার চাই। ঢাবিতে নাফিয়া গাজীর পর আন্তঃবিভাগ নিয়ে এত বড় আয়োজন মনে হয় আর কেউ করেনি! টপিক খুব বেশি খারাপ মনে হয়নি, বিশেষ করে ফাইনালের টপিকটা চমৎকার ছিল। তাই বিতর্কটাও জমেছিল বেশ।
জাজমেন্টও সন্তোষজনক। আর একটা কথা বলতেই হয়, ভলান্টিয়াররা ছিল জোস। আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ।

 
Electronic Paper