একজন আদর্শ শিক্ষক ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ
আসিফ হাসান রাজু
🕐 ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
গবেষক, শিক্ষানুরাগী বহুমাত্রিক কৃতিত্বের অধিকারী একজন আলোকিত মানুষ যিনি ছাত্রবান্ধব, অসহায় মানুষ ও সমাজের জন্য নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার। লিখেছেন -আসিফ হাসান রাজু
সমাজ ব্যবস্থায় শিক্ষার আলোকে ছড়িয়ে সমাজ, দেশ ও একটি শিক্ষিত জাতি বিনির্মাণে দিনরাত অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি। সব শ্রেণির মানুষকে নিমিষেই আপন করে নেওয়ার গুণ রয়েছে তার মধ্যে। তিনি সবার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন খোলা মনে। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী একজন শিক্ষক হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখ। শিক্ষকতার এ মহান পেশাকে তিনি তার জীবনের সব থেকে বড় অর্জন মনে করেন। তিনি এক বিবেকবান মহীরূহ।
১৯৯২ সালে তিনি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তী সময়ে একই বিভাগ থেকে ১৯৯৩ সালে এমএসসি ডিগ্রিতেও প্রথম স্থান অধিকার করেন। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৯৯ সালে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে পরিসংখ্যানের শিক্ষক হিসেবে প্রভাষক পদে যোগ দেন। পেশাগত জীবনে তিনি আন্তর্জাতিক কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়া বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলের শিক্ষক, সহকারী প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রবীণ এ গবেষকের এ পর্যন্ত প্রায় ২৭টির উর্ধ্বে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ২০১২ সালে গবেষণায় অবদানের জন্য মালয়েশিয়ার ইউপিএম হতে Excellent Performance Award 2012 ভূষিত হন তিনি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অর্জন করেন বিভিন্ন গোল্ড মেডেল। তিনি বলেন, ‘সর্বদা নিজের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জীবনের সাফল্যে সবাই সঙ্গী হতে চাইলেও ব্যর্থতার দায় একান্ত নিজেকেই বহন করতে হয়। তাই সফল জীবন পেতে আত্মবিশ্বাসের কোনো বিকল্প নেই।
শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবনে আত্মবিশ্বাসকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি পাশাপাশি সময়ের কাজ সময়ে করতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমি মনে করি বর্তমান প্রজন্মকে পড়াশোনার পাশাপাশি জীবন গঠনের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসকে সব থেকে গুরুত্ব দিতে হবে। আত্মবিশ্বাসের জোরে অনেক অসাধ্যকে সাধন করা সম্ভব। জীবন গঠনে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে সবকিছু অর্জন সম্ভব নয়। একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজ সচেতনমূলক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে বলে মনে করেন এ গবেষক।’