শাবিপ্রবির ‘হিসাববিজ্ঞান’ পরিবার
হামিদা আব্বাসী
🕐 ৩:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২২

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ‘ব্যবসায় প্রশাসন’ বিভাগ একাই একটি অনুষদ ও ডিপার্টমেন্ট। প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষ একসাথে পড়লেও তৃতীয় বর্ষে গিয়ে আলাদা হয়ে যায় ‘ব্যবসায় প্রশাসন’ বিভাগের একই ব্যাচের স্টুডেন্টরা। পরিচয় পায় অনন্য এক একটি বিষয়ের স্টুডেন্ট হিসেবে।
তেমনি বিশ তম-এ ব্যাচের ‘হিসাববিজ্ঞান’ পরিবার একটি অনন্য পরিবার। পড়াশোনার বাহিরেও বিজনেস রিলেটেড প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন সংগঠনে সংগঠক হিসেবে এবং সাস্টে তাঁদেরকে আলাদাভাবে চেনার মতো একটি অনন্য স্থান করে নিয়েছে এ বিষয়ের স্টুডেন্টরা।
তাঁরা যাতে একজন সুদক্ষ, সুকৌশলী কর্মজীবী হতে পারে পাশাপাশি একাউন্টস অফিসার, সিএ, এবং চার্টাড একাউন্টট্যান্ট হিসেবে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারে এজন্য চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে তাঁদেরকে ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে বিভিন্ন ফার্ম, কোম্পানি, ব্যাংকে কাজ করার জন্য পাঠানো হয়।
সাস্টে ‘হিসাববিজ্ঞান’ পরিবারের প্রাণ হচ্ছেন প্রফেসর নজরুল ইসলাম ও প্রফেসর শাহিদুল ইসলাম স্যার। প্রফেসর নজরুল ইসলাম স্যারকে অনেক স্টুডেন্টরাই ‘কিউট’ স্যার বলে সম্বোধন করেন। যদিও কেউ স্যারকে সরাসরি বলতে পারেন না। পড়াশোনা শেষ করে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়া অবধি তেমন কথা বলেন না। স্যারের একটাই কথা আগে সফলভাবে পড়াশোনা শেষ করো তাঁরপর আমার সাথে কথা বলতে এসো, ছবি তুলতে এসো।
সবাই এই কথা শুনে হাসিতে সরব করে তুলে আড্ডা কক্ষ। যোগ হয় পরে জিহাদের বাংলা, ইংরেজি ভাষায় গান পরিবেশন। লিজা, শুভা, পূজা, ফারহান, শিমলা, আসিফ, জীবন,আফসানা, হামিদা, তাসকিয়া ওরা সবাই তাঁদের নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি ও হাস্য রসাত্মক কথা দিয়ে আড্ডাকে প্রাণবন্ত করে তুলে। মানুষ মাত্রই ভোজনরসিক। খাওয়া - দাওয়া শেষ হয়ে আসলে সবাই ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়। কিছু স্থিরচিত্র ধারনের পর হিসাববিজ্ঞান পরিবারের একেক জন তাঁদের গন্তব্যের দিকে মোড় নেয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
