ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যক্তি পোস্টার নিষিদ্ধ করা হোক

সৈয়দ আশিক
🕐 ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৯

আমি রাজনৈতিকভাবে পোস্টার মারার খুব বিরোধী ছিলাম। নিজে জীবনে পোস্টার করিনি। আমি ২০০২ সালে বিরোধী দলে ভোলা সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। ওই বয়সে আর ওই দুঃসময়ে কেউ অনার্স-মাস্টার্স কলেজের সম্পাদক তো দূরের কথা, কর্মী হওয়াই ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জের। যাই হোক পোস্টার কনসেপ্টটা কী আসলে অনেকেই বোঝেন না।

ব্রিটিশ আমল হয়ে পাকিস্তান আমলের লড়াই-সংগ্রামে আমাদের জাতীয় নেতারা টিভি কিংবা রেডিওতে এমনকি সবাই সব পত্রিকায় সমান কাভারেজ পেতেন না। তাই জনগণের কাছে নিজেদের প্রার্থী কিংবা নেতার পদ, নির্বাচন, কিংবা সুবিধা-অসুবিধার খবর তুলে ধরতে পোস্টার একধরনের বিজ্ঞাপন হিসেবে কাজ করত। কিন্তু এখন ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে ফল দোকানদার, ঘাটশ্রমিক, ট্রাকস্ট্যান্ড, হোমিওপ্যাথিক এসোসিয়েট ইত্যাদির একটা পদ পায় আর হুট করে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেয়। আসলে এর দ্বারা শেখ হাসিনাকে বেচা হয় মানুষের কাছে। বোঝানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পোস্টার বয়ের সম্পর্ক ভালো!

মনে হয় শেখ হাসিনা ওনাকে পদ দিয়েছে আর বলছে সুন্দর করে তিন খাম্বা, চার রাস্তার মোড়, কলেজ মোড় আর বাসস্টান্ডে ভালো করে লাগাতে। বর্তমান সময়ে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই পোস্টার কনসেপ্ট অবৈধ কাজের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে ওয়ার্ড, নগর কিংবা বন্দর যেখানে টাকা ওড়ে সেখানে পোস্টার লাগিয়ে নিজের চেহারা পরিচিত করার একটা প্রতিযোগিতা থাকে যেন টাকা পয়সার ভাগ ঠিক থাকে।

আগে জাতীয় নির্বাচনে পোস্টার হতো আর এখন পয়লা বৈশাখ, চাঁনরাইত, ঈদ, পূজা, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস, নেত্রীর বিদেশ সফর, ফাল্গুন, স্বাধীনতা দিবস, কমিটি দেয়া, মুক্তি চাই, সম্মেলন চাই, ফাঁসি চাই ইত্যাদিতে পোস্টার লাগানো হয়।

রাজনীতি কবে হৃদয় থেকে কাগজে ঢুকেছে আল্লাহ জানে। আইন করে ব্যক্তি পোস্টার নিষিদ্ধ করা হোক। বিশ্বে কোথাও আমাদের মতো পোস্টার নেই।

সৈয়দ আশিক
সাবেক ছাত্রনেতা

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper