কাশ্মীর, দক্ষিণ এশিয়ার ফিলিস্তিন
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১০:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৬, ২০১৯
মোদির সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দিল। যার মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরোও করে দেওয়া হলো এবার। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হলো নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না।
জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হলো। এখন থেকে তার পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে। তবে তার বিধানসভা থাকবে। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিচালিত করবেন দুই লেফটেন্যান্ট গভর্নর। যেমনটা ব্রিটিশ আমলে হয়েছে।
এই ঘটনা ঘটানোর জন্যই বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে গোটা অঞ্চলে। অবস্থা থমথমে। শুধু তাই নয়, ১ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক ও ওমর আবদুল্লা।
তারা মোদিকে বলেন, ৩৫ (ক) ধারা বাতিল করে দিলে গোটা উপত্যকায় তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। মোদি তাদের সঙ্গে কথা শেষ করে সেদিনই ১০ হাজার বাড়তি সেনা কাশ্মীরে পাঠায়। এর মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে মোদির প্রতারণার বিষয়টি বিশ্ব বাজারে ওপেন হয়ে গেল। এই পদ্ধতিগত হিংসার জবাব শান্তিপ্রিয় হবে না।
তবে আমি বলব এটা ভালো হয়েছে মোটের ওপর। লোক দেখানো রাজ্যের মর্যাদার চেয়ে বা ছদ্ম পরাধীনতার চেয়ে সরাসরি পরাধীনতা ভালো। এবার স্বাধীনতার আন্দোলনে আর কোনো আড়াল থাকবে না। এই ৭০ বছরের জুলুমের জবাব ভারতের জন্য কতটা করুণ হবে তাই দেখবার অপেক্ষা।
রেজাউল করিম রনি
সাংবাদিক
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228