সিনেমা করব ভাবিনি
ওয়াহিদ সুজন
🕐 ১২:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৮
চলতি মাসের শুরুতেই দুটো ছবি নিয়ে বড় পরিসরে অভিষেকের কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে তা আর হয়ে উঠেনি। চলতি সপ্তাহে মুক্তি পেল ইস্পাহানি আরিফ জাহান পরিচালিত ‘নায়ক’। এ ছবিতে অধরার বিপরীতে আছেন বাপ্পী চৌধুরী। সম্প্রতি সিনেমা ক্যারিয়ার ও অন্য প্রসঙ্গে খোলা কাগজের মুখোমুখি হন অধরা খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ওয়াহিদ সুজন
১২ অক্টোবর আপনার দুটি ছবি মুক্তির কথা ছিল।
জ্বি। নায়ক ও মাতাল।
কিন্তু তা হয়নি। এ শুক্রবার মুক্তি পেল ‘নায়ক’। ডাবল ধামাকা থেকে সিঙ্গেল ধামাকা হয়ে গেল।
আসলে বিষয়টি আমার জন্য পজিটিভ। কারণ একজন আর্টিস্টের একই দিনে দুটি ছবি রিলিজ হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। যখন নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেই হয়ে যাব-আমি চাইব না আমার এক প্রযোজক আরেক প্রযোজকের সঙ্গে যুদ্ধ করুক, চাইবো না এক ডিরেক্টর আরেক ডিরেক্টরের সঙ্গে যুদ্ধ করুক। তুলনাও চলে আসে কে ভালো বানিয়েছে, কে খারাপ বানিয়েছে।
এক দিক থেকে পজিটিভ ছিল প্রথম দুটো ছবি একসঙ্গে রিলিজ হচ্ছে। আরেক দিকে আমি একদমই খুশি ছিলাম না। এখন আমি অনেক খুশি। ‘নায়ক’ এর এক সপ্তাহ পর (২৬ অক্টোবর) মুক্তি পাচ্ছে ‘মাতাল’।
আপনার সিনেমা ক্যারিয়ার শুরু তো মোটামুটি দুই বছর।
জ্বি।
তো, অভিষেক একটু দেরিতে হয়ে গেল না?
অভিষেকের আসলে দেরি নেই। ছবি যখনই আসবে সেটাই অভিষেক। এটা আগে আর পরের বিষয় না। আমি কাজ করছি। আর কাজ করে যাওয়াই বড় বিষয়।
দুই ছবিতে আপনার নায়ক যথাক্রমে বাপ্পী চৌধুরী ও সাইমন সাদিক। এ সময়ে হাতে গোনা জনপ্রিয় নায়কদের মধ্যে তারা উল্লেখযোগ্য। নিশ্চয়ই ভালো অভিজ্ঞতা ছিল?
অবশ্যই। ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। তারা শুধু পর্দার নায়ক না, বাস্তবেরও নায়ক। পর্দায় যতটা কেয়ারিং বাস্তবে তার চেয়ে আরও বেশি।
দুই ছবির চরিত্রে মিল আছে?
দুই ছবিতে দুই রকম আমি। দুই রকম অধরা। মাতালে আমার নাম ফারিশা, নায়কে অন্তু। নাম থেকে শুরু করে সবকিছু আলাদা।
যদি স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে অভিনয় করতে বলা হয়, কাকে চাইবেন?
আসলে স্বপ্নের নায়ক নিয়ে ভাবিনি। পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে চাইব বাংলাদেশের সব আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করতে।
এরকম হয় না কোন একটা স্বপ্নের ক্যারেক্টারে অভিনয় করতে চান।
শাবানা ম্যাডামের ‘ভাত দে’ মুভিটা আমার খুব প্রিয়। ববিতা ম্যাডামের ‘বিরাজ বৌ’ আমার খুব প্রিয়। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ আমার পছন্দের। অনেক ছবি আমার প্রিয়। এখান থেকে চরিত্র বেছে নিতে চাই।
বোঝা যাচ্ছে আপনি আটঘাট বেঁধে এসেছেন। বাংলা ছবি নিয়মিত দেখেনও।
আমি দর্শক হিসেবে দেখেছিলাম। আমি কখনো সিনেমায় আসব, সিনেমা করব ভাবিনি। এটা কাকতালীয় বলা যায়। আমার সৌভাগ্যও বটে। কিন্তু আমি ছবি দেখতে বরাবরই পছন্দ করি। সিনেমা দেখা, বই পড়া আমার শখ বলা যায়।
এখন তো বলা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো নয়...
এটা ঠিক নয়। ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ এটা শুনতেই ভালো লাগে না। ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ হলে এত এত নায়ক-নায়িকা আসে কী করে? আপনি দেখেন মাহি আপু আসছেন কত দিন হলো। বাপ্পী ভাই এলেন। এরা তো দাঁড়াতে পারতেন না। ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে। মাঝখানে অশ্লীল সিনেমার কারণে খারাপ সময় পার করেছে।
এখন অনেকে চাঙা। আপনারা সবাই সিনেমা নিয়ে লিখছেন। চারদিকে তাকান- সিনেমা, সিনেমা আর সিনেমা। একটা সময় টিভিতে সিনেমার বিজ্ঞাপন দেখানো হতো। আরেকটা সময় সিনেমার কোনো টপিকই থাকত না। সে সময় আমরা পার করে এসেছি।
আপনার ছবির সঙ্গে জয়া আহসানের ‘দেবী’ মুক্তি পেল। এটাকে উনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলা যায়।
জয়া আপুর সঙ্গে তো প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার প্রশ্নই আসে না। জয়া আপু ভেরি ডিফরেন্ট। বলা যায়, অতুলনীয় একজন অভিনেত্রী। যেখানে আমার কোনো সিনেমাই রিলিজ হয়নি। ছবির দিক থেকে তুলনা করলেও হবে না। কারণ, ওটার নাম ‘দেবী’ আর এটার নাম ‘নায়ক’। এমন না যে দুটো নামই ‘নায়ক’ বা ‘দেবী ওয়ান’, ‘দেবী টু’। তো, দুটো দুই ধরনের গল্প, টাইপ আলাদা।
সিনেমা ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
পরিকল্পনা হলো আরও সিনেমায় কাজ করব। দর্শকের আরও কাছে পৌঁছানো।