ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

টিকটকের সেফটি অ্যাম্বাসেডর হলেন তাহসান-পূর্ণিমা

বিনোদন ডেস্ক
🕐 ৫:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২১

টিকটকের সেফটি অ্যাম্বাসেডর হলেন তাহসান-পূর্ণিমা

নিরাপদ, সুরক্ষিত ও বহুমুখী কমিউনিটি তৈরির লক্ষ্যে টিকটক বাংলাদেশে চালু করেছে সেফটি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে টিকটক বেশ কিছু সেফটি এবং প্রাইভেসি কন্ট্রোল এর সুবিধা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে যাতে ব্যবহারকারী আরও বেশি ব্যক্তিগত তথ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে এবং কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এর মধ্যে রয়েছেঃ যাদের বয়স ১৬ বছরের নিচে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো স্বয়ংক্রিভাবে প্রাইভেট করা থাকবে, ১৬ বা তার বেশি বয়সীদের কাছে সরাসরি বার্তা পাঠানোকে সীমিত রাখা এবং ফ্যামিলি পেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বাবা-মা তাদের ছেলে-মেয়েদের টিকটকে নজরদারি রাখার ব্যবস্থা।

অভিনেতা-গায়ক তাহসান খান এবং অভিনেত্রী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দিলারা হানিফ পূর্ণিমা ইন-অ্যাপ ক্যাম্পেইনের জন্য টিকটকের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। দ্বি-মাসিক ভিত্তিতে প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যাম্বাসেডররা ভিডিও ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। ভিডিও ক্যাম্পেইনে বড় পরিসরে সব বিষয় থাকবে, যার মধ্যে শিক্ষামূলক বিষয়, ডিজিটাল ওয়েলবিং বা ডিজিটাল সুস্থতা, বিশ্বাস এবং সেফটি।

এছাড়া কিছু প্রধান ফিচার ফ্যামিলি পেয়ারিং মোড থাকবে, যেটি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পিতামাতা ও কিশোর-কিশোরীদের নিজেদের মতো করে সেফটি সেটিংস করতে দেবে।

এই ক্যাম্পেইনের প্রথম প্রোগ্রাম হিসেবে তাহসান ও পূর্ণিমা উন্মোচন করেছেন ফ্যামিলি পেয়ারিং মোড। প্রোগ্রামটি লাইভ করা হয় #tiktokfamily নামে। এই ফিচারের মূল লক্ষ্য, সন্তানদের টিকটক কার্যক্রম এর ওপর পিতা-মাতাদের আরও পর্যবেক্ষণ সুযোগ। এর মাধ্যমে তারা টিকটকে ছেলে-মেয়েদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন এবং তাদের সঙ্গে বাবা-মায়েরা আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারেন।

ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচারের মাধ্যমে বাবা-মা সন্তানদের টিকটক অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার পাবে নিজেদের অ্যাকাউন্ট সংযোগের মাধ্যমে। এর মধ্যে দিয়ে তারা জানতে পারবেন সন্তানরা কার সঙ্গে কথা বলছে, তারা কোন ধরনের কনটেন্ট দেখছে এবং অ্যাপে কতটা সময় ব্যয় করছে। সন্তানরা কার সঙ্গে কথা বলতে পারে সেটা নজরদারির পাশাপাশি বাবা-মায়েরা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন কারা সওই সংযুক্ত অ্যাকাউন্টে সরাসরি ম্যাসেজ পাঠাতে পারবেন; কিংবা পুরোদমে বন্ধ রাখতে পারবেন ডিরেক্ট ম্যাসেজ অপশনও।

তাহসান খান জানিয়েছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আচরণে কেমন হওয়া উচিত – এ নিয়ে টিকটক যে পরিবারের মধ্যে কথোপকথনের সুযোগ করে দিচ্ছে, তা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। অনলাইন নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের সবারই অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। সেজন্য প্রত্যেকের জায়গা থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। সময়োপযোগী এমন প্রচারণায় আমি নিজে যুক্ত থাকতে পেরে খুব সম্মানিত বোধ করছি।

দিলারা হানিফ পূর্ণিমা জানিয়েছেন, আজকের বিশ্বকে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ছাড়া কল্পনা করা যায় না। তেমনটাই আমাদের প্রযুক্তিকেন্দ্রীক শিশু-কিশোরদেরও এসব ছাড়া চলে না। কিন্তু তারা যতই ডিজিটালভাবে শিক্ষিত হোক না কেনো, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাবা-মা হিসেবে তাদের সুস্থতার দেখাশোনা করা আমাদের দায়িত্ব। তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য এমন ক্যাম্পেইনে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত।

সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও বিনোদনের একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারকারীদের সেফটি ও প্রাইভেসি দিতে প্রতিশ্রুতি দেয় টিকটক। অনলাইনে ছেলে-মেয়েরা কী করছে সেটা জানতে এবং ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচারের একটা অংশ হিসেবে মা-বাবাদের আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দিতেই টিকটকের এই প্রচেষ্টা। এছাড়াও টিকটকের অনেকগুলো ব্যবস্থা রয়েছে যেমন, বর্ধিত প্রাইভেসি সেটিংস, ফিল্টার, ইন-অ্যাপ রিপোর্টিং, শক্তিশালী কমিউনিটি গাইডলাইন এবং লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজ মডারেশন ইত্যাদি।

একটি দায়িত্বশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, টিকটক সবসময় ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার অগ্রাধিকার দেয়। সম্প্রতি টিকটক বাংলাদেশে তাদের সেফটি সেন্টার চালু করেছে। এটি একটি ওয়ান স্টপ ডেসটিনেশন যা সেফটি পলিসি এবং রিসোর্স এনেছে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায়।

 
Electronic Paper