ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আরাধ্যের মাঝে নিজেকে দেখতে পাই

বিনোদন ডেস্ক
🕐 ২:৩২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৮

বলিউড তারকাদের বাচ্চারা সাধারণত একগাদা পরিচর্যাকারীর মাঝে বড় হয়। সেখানে ব্যতিক্রম ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সাবেক এ বিশ্বসুন্দরী জানান, যতটা সময় পারেন মেয়ে আরাধ্যের কাছাকাছি থাকেন। এ ছাড়া সবসময় পিছু নেওয়া পাপারাজ্জিকেও মেয়ের কাছে স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করছেন। ঐশ্বরিয়া সম্প্রতি সেই গল্প শোনালেন সংবাদমাধ্যম ডিএনএকে। তারই নির্বাচিত অংশ তুলে ধরা হলো

স্পটলাইটের আলোয়
সাধারণত, স্পটলাইটের আলোয় এলে বাচ্চারা সরলতা হারিয়ে ফেলে। আরাধ্য সেটা ধরে রেখেছে। আমি তাকে স্বাভাবিকভাবে বড় করার চেষ্টা করি এবং এ নিয়ে খুব একটা ঝামেলা হয় না। একই সঙ্গে, আমরা মেনে নিয়েছি (পাপারাজ্জিদের উৎপাত) এটাই হবে, এটাই বাস্তবতা।

বাচ্চার নিরাপত্তা
আরাধ্য যখন আরও ছোট ছিল, আমি দেখেছিলাম কয়েকজন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি তাদের বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করছিল। কিন্তু যখন আপনার সময় আসবে, আপনি নিজের মতো করে মানিয়ে নেবেন। নবজাতকের ক্ষেত্রে আপনার নিরাপত্তা ভাবনা প্রাকৃতিকভাবেই পোক্ত থাকে। তাই আমার যে প্রতিক্রিয়া সেখানে কোনো প্যানিক বা নাটক নেই। আমি কখনো ছবি তোলার কারণে আমার বাচ্চার মুখ ঢাকিনি। আমি শুধু তাকে হাঙ্গামা ও ফ্ল্যাশলাইট থেকে রক্ষা করতে চেয়েছি।

বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে
আপনাকে বুঝতে হবে স্যোশাল মিডিয়ার সময়ে আছেন এবং এখানে সবকিছুই উঠে আসে। তাহলে এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে? আমি সেটা কখনো করিনি। আমার চিন্তা হলো, একে আরাধ্যের কাছে স্বাভাবিক করে তোলা। এটা আমাদের কাছে অস্বাভাবিক কারণ এমন নয় যে, আমরা বাচ্চাদের কারণে পরিচিত হচ্ছি, অথচ আমরা ভাবছি এটা বাচ্চাদের জন্য ঠিক হবে কিনা। এসব নিয়ে চিন্তিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাপার নয়। আমি চাই আরাধ্য অভিজ্ঞতা অর্জন করুক এবং আমার সঙ্গে ভ্রমণ করে তার ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠুক।

মা-মেয়ের একান্ত সময়
এখানে আমাদের পক্ষে রাস্তায় হাঁটা সম্ভব নয়। দুই-তিনটা পার্কে তাকে নিয়ে যাই। নিজেকে লুকিয়ে রেখে তাকে মুম্বাই ঘোরার স্বাদ দিই। যেহেতু খুব একটা মানুষ থাকে না, সেখানে আরাধ্য নিয়ে যাই। মিডিয়া এসব   জায়গার কোনো সূত্র পায় না। দেশের বাইরে এ নিয়ে কোনো সমস্যাই হয় না। সেখানে সবকিছু সহজ।
আরাধ্যের মাঝে ছোট্ট আমাকে দেখতে পাই। আমি তাকে প্রতিদিন স্কুলে দিয়ে ও নিয়ে আসি। এ কাজটা পছন্দ করি। তার সঙ্গে কাটানো সময় উপভোগ করি। এ নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত এবং এটাই সেই তৃপ্তি যা সবাই চায়। আমি বরাবরই তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি, কিন্তু চেষ্টা করি যাতে সবকিছু তার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়।

একাই সামলাতে পারি সব
আরাধ্যকে কোনো কর্মচারীর সঙ্গে আমি বাইরে পাঠাই না। বরং আমিই সবসময় থাকি। আমি যখন বাসায় থাকি, কী করি? লোকে সম্ভবতভাবে, আমার উচিত জিম করা, ওজন কমানো কিন্তু আমি চাই মেয়ের সঙ্গে থাকতে। এমন না যে, ওর জন্য নার্স বাহিনী আছে। শুধু একজনই আছে, যখন তিনি চলে যান আমিই সব কাজ করি। যখন দেশের বাইরে থাকি। আরাধ্যকে সামলাতে কারও সাহায্য নিই না, তার সবকিছু আমিই সামলাতে পারি। এটা ভাবতে ভালো লাগে, আজকাল সে পাপারাজ্জিদের সঙ্গে মানিয়ে গেছে।

 
Electronic Paper