ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কেমন হলো শিল্পার ‘হাঙ্গামা-২’

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৩:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২১

কেমন হলো শিল্পার ‘হাঙ্গামা-২’

‘হাঙ্গামা-২’ মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ইনস্টাগ্রামে শিল্পা লিখেন, ‘অনেক কষ্ট করে ছবিটা আমরা তৈরি করেছি। প্লিজ ছবিটা দেখুন।’ শিল্পা শেঠি ভয় পেয়েছিলেন, রাজ কুন্দ্রার পর্ন কেলেঙ্কারির ধাক্কায় এই ছবির ব্যবসা যেন মার না খায়। কঠিন সময়ে থেকেও শিল্পা যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন ছবিটা বাঁচাতে। তার জন্য শিল্পাকে বাহবা। তবে ছবির জন্য মোটেই নয়! কারণ, কুন্দ্রা যদি পর্ন বিপাকে নাও পড়তেন, তবুও এই ছবি কতদূর কী করতে পারত, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে এর জন্য দায়ী একা শিল্পা নয়। বরং ‘যত দোষ’ পরিচালক প্রিয়দর্শনের!

ভাবছেন, এতটা বাজে হাঙ্গামা টু? সহজ উত্তর, হ্যাঁ। ছবিটি একেবারেই মধ্যমানের। ২০০৩ সালে অক্ষয় খান্না, রিমি সেন, পরেশ রাওয়ালকে নিয়ে পরিচালক প্রিয়দর্শন বানিয়ে ছিলেন ‘হাঙ্গামা’। সেই ছবি এখনও বারবার দেখা যায়। কারণ, পুরোনো ‘হাঙ্গামা’র বুননটাই ছিল তেমন। কিন্তু নতুন ‘হাঙ্গামা’তেই প্রিয়দর্শন গল্পের বাঁধনকে করলেন ঢিলে। আর তার ফলে সিনেমা একটু এগোতেই ঝিম ধরিয়ে দেবে।

নাম ‘হাঙ্গামা-২’ হলেও, আগের ছবির গল্পের সঙ্গে এই গল্পের কোনো মিল নেই। বরং এই গল্প আকাশ নামের এক তরুণের। আকাশের এনগেজমেন্টের দিনই আসরে হাজির বাণী নামে এক তরুণী। বাণী সোজা জানিয়ে দেয়, সে আকাশের সন্তানের মা হতে চলেছে। এমনকি, তার কাছে নাকি প্রমাণও আছে। হঠাৎই বিপাকে পড়ে আকাশ। গোটা ব্যাপারটা খোঁজ নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে আকাশের বাবা কাপুরের সহকর্মী অঞ্জলির ওপর। আকাশ আর অঞ্জলিকে একসঙ্গে দেখে সন্দেহ করতে শুরু করেন অঞ্জলির স্বামী রাধেশ্যাম তিওয়ারি (পরেশ রাওয়াল)। এভাবে কমেডি অফ এররের ফমুর্লায় এগিয়ে চলে প্রিয়দর্শনের এই ছবি। যা কিনা একেবারেই গল্পের গরু গাছে ওঠার মতো অবস্থা।

‘হাঙ্গামা-২’ ছবির সবচেয়ে দুর্বল জায়গাটাই হল ছবির পরিচালনা। প্রিয়দর্শন এই ছবিটি পরিচালনা করার সময় মনে হয় ভুলেই গিয়েছিলেন এটা ২০২১ সাল। তিনি সেই পুরোনো ছকেই গোটা গল্পটা সাজিয়ে গেছেন। যা কিনা এক সময় প্রিয়দর্শনের হিট ফমুর্লা ছিল। কিন্তু ‘হাঙ্গামা-২’ ছবির ক্ষেত্রে যা একেবারেই কাজ করল না।

অভিনয়ের দিক থেকে পরেশ রাওয়াল পুরো ছবিটা জমিয়ে রেখেছেন। আশুতোষ রানাও বেশ ভালো। ছবিতে শিল্পা যা করেছেন এর থেকে বেশি কিছু আর করার ছিল না। সবচেয়ে দুর্বল মিজান জাফরি ও প্রণিথা সুভাষ। দু’জনের চোখে মুখে এক্সপ্রেশনই ছিল না। তবে একমাত্র দেখতে ভালো লাগে সুপারহিট গান ‘চুরা কে দিল মেরা’র রিমেক। তাছাড়া, ‘হাঙ্গামা-২’ ছবিতে এমন কিছু নেই যা আপনি মনে রাখবেন।

 
Electronic Paper