ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত এটিএম শামসুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১

ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত এটিএম শামসুজ্জামান

বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর রাজধানীর পুরান ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে দেশবরেণ্য এ অভিনেতাকে।

এর আগে বাদ জোহর নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অভিনেতার শেষ ইচ্ছে পূরণ করেই সম্পন্ন হয় জানাজা। নারিন্দার পীর সাহেব জানাজার ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সূত্রাপুর জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

শনিবার সকালে রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য এ চলচ্চিত্র অভিনেতা।

তার শেষ ইচ্ছেতে নারিন্দার পীর সাহেব যেন তার গোসল ও জানাজা পড়ান সে কথা পরিবারের কাছে ব্যক্ত করেছিলেন। তার কথা রেখেই সব সম্পন্ন করেছে তার পরিবার।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন পুরান ঢাকার দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তাঁর বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।

পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্রজীবনের শুরু ১৯৬১ সালে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। ওই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন এ টি এম শামসুজ্জামান। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে।

১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০১৯ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

 
Electronic Paper