ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুম্বাই ছাড়লেন কঙ্গনা, বললেন পাকিস্তানের সাথে তুলনা যথার্থ ছিল

বিনোদন ডেস্ক
🕐 ৪:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০

শিবসেনার সাথে প্রকাশ্যে সঙ্ঘাত ও রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ এবং দেশ জুড়ে চলা বিতর্কের মধ্যেই মুম্বাই ছাড়লেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কিন্তু যাওয়ার আগে নিজের টুইটারে আরো একবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাথে তুলনা করে গেলেন মুম্বাইকে।

সোমবার সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার হ্যান্ডলে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মুম্বাই ছাড়ছি। গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে আমাকে বারংবার আক্রমণ করা হচ্ছিলো, ভয় দেখান হচ্ছিলো, তাতে করে পাকিস্তানের সাথে তুলনা একেবারেই যথার্থ ছিল।’

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই চণ্ডীগড় পৌঁছে গিয়েছে কঙ্গনার উড়ান। এখান থেকেই হিমাচল প্রদেশের মানালিতে নিজের বাড়িতে যাবেন কঙ্গনা। তবে কঙ্গনার টুইট বাণ সেখানেও অব্যাহত। কঙ্গনা টুইটে বলেন, চণ্ডীগড়ে পৌঁছন মাত্রই তার নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষ তাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আবারো শিবসেনাকে ‘সনিয়া সেনা’ বলে উল্লেখ করে বলি অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম। একটা সময় ছিলো যখন মুম্বাইয়ে মায়ের স্পর্শ পেতাম। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে আমি যে বেঁচে রয়েছি সেটাই আশ্চর্যের। আমি ভাগ্যবান। যে মুহূর্তে শিবসেনা সনিয়া (গাঁধী) সেনায় পরিণত হলো সেই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের প্রশাসন সন্ত্রাসের আকার নিলো।’

গত ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে আসেন কঙ্গনা। পালি হিলে তার অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে কঙ্গনা এবং শিবসেনার সঙ্ঘাত তীব্র আকার নিতে শুরু করে। প্রকাশ্যেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে টুইটে কঙ্গনা হুঁশিয়ারি দেন, ‘আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহঙ্কার ভাঙবে।’

এখানেই শেষ নয়, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নাম জড়িয়ে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘যে বিচারধারা নিয়ে বালাসাহেব ঠাকরে শিবসেনা তৈরি করেছিলেন, আজ ক্ষমতার লোভে সেই বিচারধারাকে বিক্রি করে শিবসেনা হয়ে গিয়েছে সনিয়া-সেনা।’এখানেই থামেননি কঙ্গনা। নাম না-করে উদ্ধবের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তোমার বাবার ভালো কাজ তোমায় ঐশ্বর্য দিতে পারে, কিন্তু সম্মান তোমায় নিজেকে অর্জন করতে হবে। আমার মুখ বন্ধ করলেও আমার আওয়াজ লাখো মানুষের মুখে ঘুরবে। কত জনের মুখ বন্ধ করবে? কত দিন সত্যিটা থেকে পালাবে, (যে) তুমি কিছুই না। স্রেফ বংশানুক্রমের একটি উদারহণ।’

অন্য দিকে, প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে চুপ ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে রোববার তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব না। এটা ঠিক, মহারাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।’ সেই সাথে তার মন্তব্য, ‘আমার নীরবতার অর্থ এই নয় যে, আমার কাছে উত্তর নেই।’ পাশপাশি, কঙ্গনাও রোববার বিকেলে দেখা করেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে। মিনিট কুড়ি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন কঙ্গনা। সঙ্গে ছিলেন দিদি রঙ্গোলি চান্দেল। পরে টুইটারে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমি ন্যায়বিচার পাব।’

 
Electronic Paper