ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাগানেই যত সুখ জয়ার

বিনোদন প্রতিবেদক
🕐 ৯:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২০

করোনা ভাইরাসে বিশ্বের সবাই এখন ঘরবন্দি। যতটা ঘরে থাকা যায় ততটাই নিরাপদ। কিন্তু এভাবে কতদিন! কর্মহীন জীবনটা যে বড়ই অসহায়। সময় কাটানোও খুব দায়।

চলতি মাসেই কাজের সূত্রে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল জয়া আহসানের। অর্ধাঙ্গিনী ছবির ডাবিংয়ের কাজ বাকি ছিল তার। কিন্তু করোনা সব অনিশ্চিত করে দিয়েছে। তাই বর্তমান সময়টা কাটছে না তার। একঘেয়েমি হয়ে উঠেছেন জয়া। আর তা কাটাতে কি করছেন জয়া? জেনে নিই জয়ার মুখ থেকেই- “বাড়ির মানুষের মাঝে আছি ঠিকই। কিন্তু ভয়ে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পারছি না। সব সময়ই মনের মধ্যে একটা টেনশন। সিনেমা দেখতে দেখতে চোখে জ্বালা ধরে যাচ্ছে। আর ভালও লাগছে না। সকালে উঠে বাগানে চলে যাই।

নিজের হাতেই বাগানের সব কিছু করি। মাটি করা, টব বদলানো, গাছ লাগানো... ওখানেই সকালে দু’তিন ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। বিকেলেও বাগানে গিয়ে গাছে জল দিচ্ছি। এই টালমাটাল সময়ে বাগানেই একটু শান্তি খুঁজে পাচ্ছি। আর আমার পোষ্য আছে, ক্লিয়োপেত্রা আর ওর বন্ধু সল্টি। এই ক’দিন ওরাও আমার সারা দিনের সঙ্গী। মনে প্রাণে চাইছি যেন তাড়াতাড়ি আমরা সকলেই এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পারি।’’

তবে জয়াকে আবেগও তাড়া করছে। দেশের এই দূর্যোগের দিনে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কষ্টের কথা ভাবাচ্ছে তাকেও- ‘এই একটু আগে আমার বাড়ির নীচে কীটনাশক দিয়ে গেল। এখানে রাস্তায় সেনাও নামানো হয়েছে। তবে মানুষ এত ভয় পেয়ে আছে যে, অকারণে বেশি করে সব জিনিস কিনছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে হু-হু করে।

‘দিন আনে দিন খায়’ মানুষগুলোর কথা তো ভাবতে হবে। একে এখন সকলের কাজ বন্ধ, ওদের হাতে টাকা নেই। তার মধ্যে আবার জিনিসপত্রের দাম বাড়লে ওদের চলবে কীভাবে?

চাল, ডাল তো অন্তত কিনবে, সেটাও তো কিনতে পারবে না। আমাদের ছবির জগতেও এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের হাতে এখন প্রায় কিছুই নেই। তাঁদের জন্য আমি ফান্ড তোলার চেষ্টা করছি। যতটা সাহায্য করা যায়। তবে এখানে তো মূল ব্যবসা গার্মেন্টসের। সেটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।’

 
Electronic Paper