১৭ বছর আগে চলে যান গোলাম মুস্তাফা
বিনোদন ডেস্ক
🕐 ২:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
দেশবরেণ্য কিংবদন্তী অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা। অভিনয়ে, কণ্ঠে তিনি ছিলেন অনবদ্য একজন। ছোট কিংবা বড় দুই পর্দাতেই তাকে দেখতে মুখিয়ে থাকতেন দর্শক। একজীবনে বহু চরিত্রে তিনি দাগ কেটেছেন সবার অন্তরে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের গুণী এই অভিনেতা ২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন।
গতকাল ছিল তার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাকে স্মরণ করছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। গোলাম মুস্তাফা ২ মার্চ ১৯৩৪ সালে বরিশালের দপদপিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন সাব-রেজিস্ট্রার। স্কুল জীবন শুরু করেন তিনি রোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। ম্যাট্রিক পাস করেন খুলনা জিলা স্কুল থেকে। স্কুল-কলেজ জীবনে নাটকে অভিনয় করা তার শখ ছিল।
১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হল মঞ্চে বি.ডি হাবিবুল্লাহ রচিত ‘পল্লীমঙ্গল’ নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর বরিশাল জেলা স্কুলে ‘ফাতেহা ইয়াজ দাহাম’উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘ঐ নাম’কবিতাটি আবৃত্তি করেন এবং আবৃত্তিকার হিসেবে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন। পঞ্চাশের দশকের মধ্য সময়ে ঢাকায় আসেন এবং নাট্যাভিনয় শুরু করেন গোলাম মুস্তাফা।
তিনি প্রথমে চিত্রজগতে আসেন প্রামাণ্যচিত্র ‘এক একর জমি’তে অভিনয়ের মাধ্যমে। প্রথম অভিনীত ছবি এহতেশাম পরিচালিত ‘রাজধানীর বুকে’। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি প্রাপ্ত এই ছবিতে তিনি ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। মূলত প্রথম ছবি থেকেই তিনি অভিনয়ে পারদর্শিতা দেখান। এরপরে নায়ক, সহনায়ক, খলনায়কসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন। গোলাম মুস্তাফা বাংলা ও উর্দু মিলে প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হচ্ছে- হারানো দিন, চান্দা, নাচঘর, পীরিত না জানে রীত, কাজল, ফির মিলেঙ্গে হাম দোনো, তালাশ, আলিবাবা চল্লিশ চোর, বন্ধন, বেগানা, কারওয়াঁ, ক্যায়সে কহু, নদী ও নারী, কার বউ, ইস্ ধরতি পর, ইন্ধন, চাওয়া পাওয়া, দাসী, সোহানা সফর, নতুন দিগন্ত ইত্যাদি।