সাংগঠনিক কাজ করতে ভালো লাগে
তৌফিকুল ইসলাম
🕐 ২:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে
বর্তমানে আপনার হাতে থাকা ‘হ্যালো’, ‘দোস্ত দুশমন’,‘জিরো পয়েন্ট’, ‘নসিব’ ও ‘ভেলকিবাজি’ সিনেমার শুটিং কবে শুরু হবে?
নির্বাচনের পরই হাতে যে ছবিগুলো আছে একটা একটা করে শুরু হবে।
নভেম্বরে শুরু হবে?
হ্যাঁ, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে হয়তো কাজ শুরু হবে।
এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় যে সিনেমাগুলো হওয়ার কথা...
সেগুলোর শুটিং জানুয়ারিতে শুরু হবে।
জিরো পয়েন্ট ছবির শুটিং কি ভারতেই হবে?
দু জায়গায়ই হবে, বেনাপোল বন্দরকে কেন্দ্র করে গল্পটা। এদিক-ওদিকের বর্ডারটা নিয়েই গল্প।
বর্ডার নিয়ে সিনেমা, এখন তো সীমান্তে উত্তেজনা চলছে।
হ্যাঁ।
মুক্তির অপেক্ষায় যে সিনেমাগুলো আছে, সেগুলো কবে মুক্তি পাবে?
একটা ছবি মুক্তির ডেট পড়ে গিয়েছিল, আবার পরে যে কোনো কারণে ডেট চেঞ্জ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ছবি মুক্তির ডেটগুলো পড়বে এরকম আশা করছি। ১৬ ডিসেম্বর একটা ছবি মুক্তি পাওয়ার প্ল্যান আছে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কোন ছবিটা মুক্তি পেতে পারে?
কাকতাড়ুয়া ছবি মুক্তি পাওয়ার প্ল্যান আছে।
ছবিটি কি মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক গল্প নিয়ে নির্মিত?
হ্যাঁ, মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক ছবির গল্প ‘কাকতাড়ুয়া’।
এর মধ্যে তো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন করছেন?
জি, ইনশাআল্লাহ।
আপনি সবচেয়ে নবীন প্রার্থী এটা বলছেন, এত শিল্পীর ভিড়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন?
হ্যাঁ, আমার সাংগঠনিক কাজ করতে সবসময় খুব ভালো লাগে। তারপর গত দুই বছর আমি সমিতির মেম্বারদের সঙ্গে সমস্ত কর্মকাণ্ডে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় ফারুক স্যার, ডিপজল চাচ্চু, মিশা ভাই, জায়েদ ভাই সবাই বললেন তুমি এবার আমাদের সঙ্গে নির্বাচন করো, করতে হবে। যেহেতু তুমি এমনিতেই সাংগঠনিকভাবে কাজ করো আমাদের হয়ে, এবার আমাদের সঙ্গেই করো। এভাবেই মূলত আসলে প্রথমবার নির্বাচন করার প্ল্যানিংটা আসে।
এখন তো নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা উঠছে, এফডিসি গরম, মিছিল হচ্ছে, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, এর মধ্যেও নির্বাচন করার আগ্রহটা ধরে রেখেছেন?
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ এটাতো প্রত্যেকটা সময় নির্বাচন এলে হবেই। এক পক্ষ কীভাবে আরেক পক্ষকে মোকাবেলা করবে, এটা একটা রাজনৈতিক পলিসি। এ পলিসিটা কেউ কেউ হয়তো মেক করছে, আবার হয়তো আমরা মেক করছি না এটা হতে পারে। তারপরও আমরা আমাদের মতো স্বাভাবিকভাবে প্রচারণা চালাচ্ছি। এটাতো অরাজনৈতিক ও অলাভজনক একটা অ্যাসোসিয়েশন, এখানে তো আমাদের লাভের কিছু নেই। অ্যাসোসিয়েশন মূলত আমাদের শিল্পীদের সমস্ত স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই। এখন আমরা চাচ্ছি যে আমরা আসলে শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করব। উনারা চাচ্ছেন উনারা শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করবেন। এরকমই কিছু একটা হবে, এছাড়া আহামরি কিছু না। এখানে আমরা সবাই ফ্যামিলি মেম্বার, ইলেকশনের আগেও আমরা এক ও ইলেকশনের পরেও আমরা সবাই এক সবসময়।
শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার কথা হচ্ছে, এখন তো পত্রিকায় এমন সংবাদও এসেছে যে সিনেমার খবর নেই অথচ শিল্পী সমিতি নিয়ে তুলকালাম চলছে...
শিল্পী সমিতির কাজ সিনেমা করা না, এটার কাজ ডিরেক্টরের, প্রোডিউসারের। আর্টিস্ট তো কখনো সিনেমা বানায় না, আর্টিস্ট অভিনয় করে। আমাদের এখানে ৪৪৯ জন মেম্বার আছে এদের স্বার্থরক্ষা করার জন্যই আমরা অবশ্যই নির্বাচন করব। কারণ ক্ষমতায় আসতে হলে তো ইলেকশন করেই আসতে হয়। এটাই স্বাভাবিক কথা। এছাড়া তো আমাদের বেশি কিছু করার স্কোপ নেই কোথাও।
আপনার জীবনের স্বপ্ন নিয়ে বলুন...
আমি ভালো মানুষ হতে চাই। আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হচ্ছে আমি মারা গেলে যেন সবাই বলে জয় চৌধুরী অনেক ভালো ছেলে ছিল। আর দুনিয়াতে বাঁচতে গেলে তো কিছু না কিছু করতে হয়, সো আমি সিনেমাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। এমবিএ কম্পিলিট করে ফেলার পর আমি কোনো জবে জয়েন করিনি। ছোট ভাই জার্মানিতে থাকে, পিএইচডি করছে। আমার বাইরে যাওয়ার অনেক স্কোপ ছিল যাইনি। কিন্তু আমি কখনোই চাইনি, যেহেতু ফিল্মটাকে আমি মনেপ্রাণে ভালোবেসে ফেলেছি। আমি চেয়েছি এখানেই কিছু একটা করি, ফিল্মই করি। আসলে সিনেমার মানুষদের সঙ্গে আমার থাকতে ও উঠতে বসতে অনেক ভালো লাগে এই হচ্ছে ব্যাপার।
সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ।