ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বছর ঘুরে কিংবদন্তির প্রয়াণ

আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আইয়ুব বাচ্চুর

বিনোদন প্রতিবেদক
🕐 ৩:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৯

‘কোনোদিন এই গিটারের ধ্বনি যদি থেমে যায়, মরণ যেন ঠিক সেই সময়ে আমাকে নিয়ে যায়।’ পিয়ানো অ্যালবামের এই গান খুব স্বরণীয়। সেই গানের শিল্পীর আজ ১ম মৃত্যু বার্ষিকী। ঠিক এক বছর আগে পৃথিবীর মায়া, শ্রোতার সীমাহীন ভালোবাসা নিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। এখনো তার সুভাকাক্সক্ষীর গানের অপেক্ষায় থাকে- কবে হবে কনসার্ট, কবে জমবে মেলা। কিন্তু, বাচ্চুর আর ফেরা সম্ভব নয়। তাইতো শ্রোতারা আজ শোকাহত।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তি শিল্পী ছিলেন একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ, গায়ক-গীতিকার এবং গীটারবাদক। আইয়ুব বাচ্চু রক ব্যান্ড এলআরবি’র গায়ক ও গীটারবাদক হিসেবে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তাকে দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতের ধারায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং গীটারবাদক বলা হয়। এখনো তার মতো বাদক-গায়কের অভাব বোধ করেন শ্রোতারা।

আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া জনপ্রিয় একক অ্যালবামের তালিকায় রয়েছে রক্ত গোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি! (২০০২), জীবনের গল্প (২০১৫) আরও বেশ কয়েকটি অ্যালবাম। এ ছাড়াও দেশের স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে তার যৌথ অ্যালবাম রয়েছে যেমন আচল, পিয়ানো, যন্ত্রণা ইত্যাদি।

মাত্র ৫৬ বছর বয়সে তার ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর মৃত্যুতে ভেঙে যায় কোটি শ্রোতার মন। তারপর একটি বছর পাড় হয়েছে কিন্তু তার গাওয়া গানের ভাটা পড়েনি। এখনো শহর থেকে গ্রাম, উন্নত থেকে প্রত্যন্ত, দেশ ছাপিয়ে বিদেশের মাটিতেও বাজে তার কণ্ঠে গাওয়া গান। এখনো অনেক শ্রোতার পছন্দের আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া গান না শুনলে ঘুম হয় না। অথচ জাগতিক মায়া ত্যাগ করে একটি বছর আগে গোটা বিশ্বকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। আজ তাই তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ করি তাকে। চাই, কিংবদন্তি আত্মা থাকুক শান্তিতে।

 
Electronic Paper