ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক থা সা মা ন্য

সাপলুডুতে মহুয়া একটা ফাঁদ

তৌফিকুল ইসলাম
🕐 ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯

গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত ‘সাপলুডু’ ছবিটি গতকাল মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে অভিনয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে বৈশাখী ঘোষ কথা বলেছেন তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে

সাপলুডু সিনেমার সাঁওতাল মেয়ে ‘মহুয়া’ চরিত্রটি নিয়ে বলুন...

ইউনিক, আলাদা রকম একটা চরিত্র। খুব বেশিক্ষণ না, মনে হয় আমি সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচ মিনিট আছি। আমরা সাপলুডু খেলতে গেলে সাধারণভাবে যেটা হয়, বিভিন্ন ফাঁদে পড়তে হয়। এ সাপলুডু ফিল্মেও ছয়/সাতটি ফাঁদ আছে, সে ফাঁদের একটা ফাঁদ হচ্ছে এ মহুয়া। এখানে আমার বিপরীতে কো-আর্টিস্ট ছিলেন শতাব্দী দা অর্থাৎ শতাব্দী ওয়াদুদ। আমি ছবিতে তার প্রেমিকা থাকি। আমাকে দিয়েই আরমান মানে শুভকে ফাঁদে ফেলা হয়।

অভিনয়ের পথচলা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
থিয়েটারের মাধ্যমেই পথচলা শুরু। আমি ঢাকা ড্রামার সঙ্গে থিয়েটার করেছি পাঁচ বছর। অনস্ক্রিনে এসেছি উত্তম গুহ দা এবং চিত্রলেখাদির মাধ্যমে। আর আমার ফার্স্ট কাজ হচ্ছে তানভীর মোকাম্মেল স্যারের ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ ফিল্ম। এ ছবিতে একটা মেইন কাস্টিংয়ে ছিলাম। ছবিটা হয়তো খুব দ্রুত রিলিজ হবে, অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। অনস্ক্রিনে কাজ করতেই হবে এমন না, একদম প্যাশনের জায়গা থেকে, ভালো লাগার জায়গা থেকে টুকটাক কাজ করতে পছন্দ করি। আর বাংলাদেশে কমার্শিয়াল সাইটটা যেরকম, সেটা ভালো। কিন্তু আমি চাই না সেভাবে কমার্শিয়ালভাবে কাজ করতে। নিজের মতো করেই টুকটাক কাজ করতে ভালো লাগে।

ঢাকা ড্রামা নাট্যদলের কোন কোন নাটকে অভিনয় করেছেন?
এখন দুঃসময় নাটক করেছি বেশ কয়েকবার, এখানে আমি প্রধান চরিত্র জরিনা ছিলাম। ছায়াবৃক্ষ করেছি কয়েকবার আর অনেক পথনাটক করেছি।

‘রূপসা নদীর বাঁকে’ এ বছরই রিলিজ হবে?
আশা করা যায়।

নাটকের চেয়ে টিভিসি-ই কী নিয়মিত করছেন?
হ্যাঁ, টিভিসি নিয়মিত করা হচ্ছে।

সর্বশেষ টিভিসি কোনটা করেছেন?
সরকারি একটা প্রজেক্ট, অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞাপনটি নির্মিত হয়েছে। এলিনা শাম্মী আপু ছিল, আমি ছিলাম। মিশু ভাই ডিরেক্টর ছিলেন।

এছাড়া অন্যান্য কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
বিবিসির সঙ্গে সাইনিংয়ে আছি, তাদের (বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন) কাজগুলো করছি।

অভিনয়টাকে খুব ফিল করেন মনে হয়, আর গতানুগতিক ধারার বাইরে কাজ করছেন...
হ্যাঁ, অসাধারণ একটা অনুভূতি। আমার তো গতানুগতিক ধারার বাইরেই কাজ করতে ইচ্ছে করে। এজন্যই আমি কাজও বলতে গেলে খুব কম করি। নতুন নতুনরকম ভাবে একদম আলাদা একটা চরিত্রের জন্ম দেওয়া, ডিরেক্টরের ভাবনা কী, আমার ভাবনা কী; ডিরেক্টরের ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনা মিলিয়ে ফুটিয়ে তোলা, খুবই ভালো লাগে। ক্রিয়েশন, মানে গড যেমন সৃষ্টি করে তেমনি ডিরেক্টর ও অ্যাক্টর মিলে আরেকটি চরিত্রের জন্ম দেয়।

সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।

 
Electronic Paper