ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুটোই ভালোবাসার জায়গা

ছাইফুল ইসলাম মাছুম
🕐 ১:২৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯

রিফাত বিন রহমান নাঈম কালারস এফএম-এর রেডিও জকি। সমসাময়িক বিভিন্ন কাজ নিয়ে কথা বলেছেন ছাইফুল ইসলাম মাছুমের সঙ্গে

মেডিকেলের শিক্ষার্থী হয়েও আরজেকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন কেন?
প্রথম এবং প্রধান পেশা তো অবশ্যই আমার চিকিৎসা পেশা। পাশাপাশি এফএম রেডিওতে কাজ করার আগ্রহ কীভাবে তৈরি হলো সেটা যদি বলতে হয় তবে বলব স্কুল লাইফ থেকে উপস্থাপনা, বিতর্ক কিংবা সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলা, মানুষের কাছে কোনো ইতিবাচক বার্তা পৌঁছিয়ে দেওয়া এই ব্যাপারগুলো উপভোগ করতাম। সেই ব্যাপারগুলোই মেডিকেল শিক্ষার্থী থাকা অবস্থাতেই আরজেইংয়ে টেনে এনেছে।

বর্তমানে কী কী করছেন?
কালারস ১০১.৬ এফএম এ ‘হোয়াটস আপ ডক’ প্রোগ্রামটির হোস্ট হিসেবে যুক্ত আছি দেড় বছরের বেশি সময়। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে এ প্রোগ্রামে কথা বলে থাকেন আগত অতিথিরা। পাশাপাশি দেশের প্রথম মেডিকেলভিত্তিক অনলাইন টেলিভিশন চ্যানেল রাজ টিভি’র হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন হিসেবে কাজ করছি। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় চিকিৎসক সমাজ-সংক্রান্ত ইতিবাচক খবর লিখছি মেডিকেল চতুর্থ বর্ষ থেকেই। বইমেলায় চিকিৎসদের নিয়ে লেখা বইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আসছে বইমেলাতেও লেখার চেষ্টা থাকছে।

আপনি একই সঙ্গে লেখক এবং আরজে। কোন পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
দুটোই আসলে ভালোবাসার জায়গা, ভালো লাগার ক্ষেত্র। রেডিও, পত্রিকা কিংবা বইমেলা সবখানেই তাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

রেডিওতে উপস্থাপনা করতে কেমন লাগে?
ভালো তো অবশ্যই। বলার অপেক্ষা রাখে না। নতুন কোনো বিষয় নিয়ে একেকদিন নতুন কোনো অতিথির সঙ্গে আলোচনা, পাশাপাশি শ্রোতাদের কাছে জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্যাবলি মজার ছলে বা গুরুগম্ভীরভাবে পৌঁছিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও সব সময় থাকে।

পথ চলতে গিয়ে কোনো স্ট্রাগলের গল্প কি আছে?
আমার ভাইটাল ক্যাপাসিটি কম। সাধারণের জন্য বোঝাতে গেলে বেশিক্ষণ দম ধরে রাখতে পারি না। সে কারণে টানা কথা বলতে সমস্যা হয়, ঘন ঘন নিঃশ্বাস প্রশ্বাস ফেলতে হয়। অনেকে বলেছিলেন এই সমস্যা নিয়ে রেডিও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা সম্ভব না। জেদের বশেই হয়তো ধীরে ধীরে নানা অনুশীলনের মাধ্যমে দমের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা এখন সম্ভব হয়েছে। আর হ্যাঁ বেশকিছু দিন ধরেই তো কাজ করছি এখন।

রেডিওতে শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া কেমন পান?
শ্রোতারাই তো প্রোগ্রামের প্রাণ। তাদের নানা গঠনমূলক মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা সবকিছুই ইতিবাচকভাবে দেখে নিজেকে শাণিত করার পাশাপাশি প্রোগ্রাম কীভাবে আরও মনোমুগ্ধকর করা যায় সেই প্রচেষ্টা সবসময় থাকে।

অনেক তরুণ-তরুণী রেডিওতে কাজ করতে চায়। তাদের জন্য আপনার কী পরামর্শ?
আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। যে কোনো বিষয় নিয়ে দরকার হলে একা একাই আয়নার সামনে কথা বলার অনুশীলন করতে হবে। ভাষাগত দক্ষতা, উচ্চারণ, সাধারণ জ্ঞান, উপস্থিত বুদ্ধি সবকিছুর সমন্বয় সাধন জরুরি।

আপনার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন নিয়ে বলুন...
একজন ভালো চিকিৎসক হতে চাই। গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশের চিকিৎসক - জনসাধারণের মেলবন্ধন আরও দৃঢ় করার প্রত্যয় থাকছে।

 
Electronic Paper