ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্ক্রিনশটের ভয় সবাই পায়

তৌফিকুল ইসলাম
🕐 ২:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯

তিতান চৌধুরী কোরবানির ঈদে প্রচারের অপেক্ষায় থাকা তার অভিনীত নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে।

আপনার সম্প্রতি ব্যস্ততা নিয়ে বলুন...
রিসেন্ট কাজ বলতে বাবা দিবস উপলক্ষে ‘গন্তব্য’ নাটকটি গেল এনটিভিতে। আর ইদানীং আমি অ্যাভেইলেবল কাজ করছি না। দেখা যাচ্ছে ইমরাউল রাফাত, শামীম জামান, অনিমেষ দা তাদের কাজ তো করি এবং রেগুলার কাজ করার হিসেবে এদের বাইরে অন্যান্য ডিরেক্টরদের কাজও সবসময় করতাম।
কিন্তু রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার পর আমার বাসা থেকে আমাকে বেটার একটা জবের জন্য প্রেসারাইজ করা হচ্ছে। যে কারণে আমি সবসময় যাদের সঙ্গে কাজ করছি তাদের কাজই কন্টিনিউ করছি, আর তাদের কাজ ভবিষ্যতেও করব, তবে আমি অ্যাভেইলেবল কাজটা কমিয়ে দিচ্ছি। অন্যান্য ঈদে দেখা যেত, সব ডিরেক্টরের কাজ মিলে আমার ৬-৭টা কাজ চলে যাচ্ছে। যে কারণে প্রথম সারির পরিচালকদের কাজগুলো করছি। যেমন তৌকীর আহমেদের স্বর্ণলতা নাটকে কাজ করলাম, তপু খানের একটা কাজ করছি, অনিমেষ দা ডেট নিলেন, তার কাজ করব। শামীম জামানের কাজ আছে সামনে।

ইমরাউল রাফাতের পরিচালনায় ঈদের জন্য যে কাজ করলেন...
হ্যাঁ, নাটকটির নাম স্ক্রিনশট। এ নাটকে আমি আছি, সাবিলা নূর আছে আর অপূর্ব ভাই আছেন।

নাটকের নামই স্ক্রিনশট? ফেসবুকে ছবি দেখে ভেবেছিলাম ছবি বোধহয়।
হ্যাঁ, নামই স্ক্রিনশট (হাসি)। ওই রকমই, গল্পটির ভেতরে স্ক্রিনশটের কিছু গল্প আছে। গল্পটি খুব ইন্টারেস্টিং, আমাদের চলমান বর্তমান জীবনে যেটা হয় পার্সোনালি কারও সঙ্গে চ্যাট করতে গেলে স্ক্রিনশটের একটি ভয় কিন্তু আমরা পাই। স্ক্রিন শটের ভয় কিন্তু আমাদের সবার মধ্যেই থাকে। বাই চান্স স্ক্রিন শট যদি চলে যায়, স্ক্রিন শট যদি নিয়ে নেয়।
এই টাইপেরই একটা গল্প। গল্পটি খুবই মজার, মানুষজন দেখলে মনে করবে ওকে ফাইন আমাদের লাইফের সঙ্গে ম্যাচ গল্পটি, এ ধরনের একটি গল্প। খুবই ইন্টারেস্টিং একটি গল্প।

স্ক্রিনশটের ভয় আপনিও পান?
স্ক্রিনশটের ভয় আমিও পাই, সাবিলা নূরও পায়, অপূর্ব ভাইও পায়। আমরা সবাই স্ক্রিনশটের মধ্যে লাইফটা কাটাই। অ্যাকচুয়ালি আমাদের রিয়েল লাইফের মধ্যে যা হয়, একটা মানুষের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হলো আমরা ভালো-মন্দ বুঝে উঠতে পারি না যে তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা কী, ভালো মানুষ না খারাপ মানুষ। ফেসবুকে তো চ্যাটিং করতেই থাকি, তারপর একটা সময় গিয়ে মনে হয় মানুষটা স্ক্রিনশট নিয়ে নিলো নাকি? কাউকে দেখাচ্ছে নাকি? আমার সঙ্গে কী কনভারসেশনটি হচ্ছে? এইসব মিলে গল্পটি। মানে একদম রিয়েল লাইফের সঙ্গে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ম্যাচ। গল্পটি খুবই মজার।

রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার কথা বললেন, পড়াশোনার কোন পর্যায়টা শেষ করলেন?
এমবিএ শেষ করলাম।

এমনিতে নাটকসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত হয়ে যাওয়ার শুরুটা কখন হয়েছিল?
২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল। আমার প্রথম কাজ কায়সার আহমেদ ভাইর সঙ্গে, উনি আমাকে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড় করান। আর আগে থেকেই আমি থিয়েটার করতাম।

কোন থিয়েটার দলের সঙ্গে ছিলেন?
আমি ‘নাট্যাধার’ দলে থিয়েটার করতাম। কায়সার আহমেদ ভাইর সঙ্গে ‘নাট্যাধার’-এর লোকজনের পরিচয় ছিল। উনি আমার শো দেখলেন একদিন, তারপর তিনি আমাকে অনুপ্রেরণা দিলেন তুমি টিভিতে কাজ করো, না পারলে নেই। এট লিস্ট ট্রাই তো করতে সমস্যা নেই। তারপর ওই ভাবেই আমার টিভিতে কাজ শুরু করা, এটা ২০১৫ সালের কথা।

ক্লোজআপ ওয়ানেও ছিলেন?
ক্লোজআপ ওয়ানে ২০০৮ এ ছিলাম, সেটি থিয়েটারেরও আগের কথা। সেখানে একটি জায়গায় গিয়ে এলিমিনেট হওয়ার পর আমি আর এগোইনি।

কতটুকু পর্যন্ত ছিলেন?
২০ এর ভেতরেই ছিলাম, এরপর আমি এলিমিনেট হয়ে যাই।

থিয়েটার শুরু করেছিলেন কখন?
২০১০ এ থিয়েটার শুরু করেছিলাম।

ফিউচার প্ল্যান...
আমি অবশ্যই জব করবো জানি, কিন্তু মিডিয়াও ছাড়ব না। যে কোনো ভাবে আমি এটা রাখবো, কারণ আমার জীবনের ৪-৫টি বছর তো আমি এখানে ইনভেস্ট করলাম। সো, আমি এটিকে অপচয় করব না। ইন্ডাস্ট্রিতে আছি, হয়তো কাজ করা কমে যাবে; কিন্তু আছি। আর আমার ডিরেক্টর যারা আছেন, তারাও সাপোর্ট দিচ্ছেন।

সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।

 
Electronic Paper