ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঢাকায় কিউয়ের ‘নবারুণ’

বিনোদন প্রতিবেদক
🕐 ৬:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৯

‘যে পিতা সন্তানের লাশ শনাক্ত করতে ভয় পায়, আমি তাকে ঘৃণা করি/ যে ভাই এখনো নির্লজ্জ স্বাভাবিক হয়ে আছে, আমি তাকে ঘৃণা করি/ যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী/ প্রকাশ্য পথে এই হত্যার প্রতিশোধ চায় না, আমি তাকে ঘৃণা করি’। প্রতিবাদ আর ক্ষোভে ফুঁসে উঠে কবিতায় যিনি বজ্রকণ্ঠে বলতে পারতেন, ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’-তিনি নবারুণ।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি ও কথাসাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য। কমিউনিস্ট ধারার এই সাহিত্যিকের লেখা থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এরমধ্যে বিশেষ করে ‘হারবার্ট’ ও ‘কাঙাল মালসাট’ অন্যতম। এদিকে তার জীবন যাপন নিয়েও চেনা ছকের বাইরের এক অন্যরূপ ফুটে উঠেছে ভিজ্যুয়াল মিডিয়ামে!

আর এই কাজটি করেছেন ‘তাসের দেশ’ খ্যাত কলকাতার নির্মাতা কৌশিক মুখার্জী। চলচ্চিত্রাঙ্গনে যিনি কিউ নামেই বেশি পরিচিত। নবারুণকে নিয়ে তার বানানো ডকুমেন্টারিটি ঢাকায় দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীন চলচ্চিত্র আন্দোলন ও লিটল ম্যাগ ‘ডানার করাত’।

রাজধানী ঢাকার আজিজ সুপার মার্কেট-এর শর্টফিল্ম ফোরাম মিলনায়তনে আগামী শনিবার বিকাল ৫টায় কিউয়ের ‘নবারুণ’ দেখানো হবে। কোনো ধরনের টিকিট মূল্য ছাড়াই আগত দর্শক প্রখ্যাত কবি ও কথাসাহিত্যিকের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারিটি দেখতে পারবেন।

ঢাকায় ‘নবারুণ’-এর প্রদর্শনীর জন্য ডানার করাতের এই সম্পাদক বাংলাদেশ স্বাধীন চলচ্চিত্র আন্দোলন, অডজয়েন্ট ও বোধশব্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ধন্যবাদ জানান শর্টফিল্ম ফোরামকেও।

২০১২ সালে ‘নবারুণ’ তথ্যচিত্রটির কাজ শুরু করেছিলেন কিউ। তখন কলকাতার গণমাধ্যমে এই তথ্যচিত্রটি নিয়ে নির্মাতা বলেছিলেন, আমি যে নবারুণের ওপর তথ্যচিত্র বানাবো সেটাই তো স্বাভাবিক। এক দিন মনে হলো, ‘আরে! এটাই তো আমার করা উচিত। এতদিন করিনি কেন?’ এখন মনে হয়, ভাগ্যিস! আমার জীবনের অন্য সব কিছুর মতো এটা দেরি করিনি, সময়মতো শুরু করেছিলাম। অন্তত এটাতে কিছুটা সেন্স কাজ করেছে! নবারুণদা আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন কথাটা শুনে। আমার কাজ সম্পর্কে তার ধারণা ছিল। আমারই খারাপ লাগছে যে উনি শেষ কাজ দেখে যেতে পারলেন না।

২০১৪ সালের ৩১ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী ও বিজন ভট্টাচার্যের ছেলে নবারুণ ভট্টাচার্য।

 
Electronic Paper