ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্ক্রিপ্ট সিনেমার মেরুদণ্ড

প্রিন্স সোহান
🕐 ২:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৯

দঙ্গল অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ডিএনএ ইনডিয়া ডটকমের কাছে। সে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ খোলা কাগজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। ভাষান্তর : প্রিন্স সোহান

কারও জন্য এটা কেমন অনুভূতি যে তার ডেবিউ মুভি দঙ্গলের জন্য অনেক ভালোবাসা ও উৎসাহ পেয়েছে, কিন্তু থাগস্ অব হিন্দুস্থানের জন্য তা ক্রমশ নিন্মমুখী অবস্থানে; আপনি বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
প্রথম কয়েকটি দিন আমি বুঝতে পারিনি কি ঘটছে। সব রকমের ট্রলিংসহ অন্যান্য ব্যাপারগুলো চলছিল... আমি অনেক মর্মাহত ও ভেঙ্গে পড়েছিলাম। কিন্তু ঘটনাক্রমে আমি সেটা গ্রহণ করতে শিখেছিলাম। যখন আপনি এরকম কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে পড়বেন, তখন সবাই এক্ষেত্রে প্রচুর এফোর্ট দিবে। এটা শুধু মাত্র অভিনেতা ও অভিনেত্রীরাই করবে না, টেকনিশিয়ানরাও করবে। প্রায় ২ বছর ধরে সবাই এটার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

দর্শকদের ক্ষেত্রে...
দর্শক সিনেমাটিকে গ্রহণ করেনি, কিন্তু আমি সে স্মৃতিগুলো ভুলবো না যা আমি তাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আমি এখনো এটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখি, কারণ আমি এ সকল লিজেন্ডদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি এ জায়গাটিতে অনেক সংগ্রাম এবং অডিশনের মাধ্যমে পৌঁছাতে পেরেছি। একটি ব্যর্থতা আমাকে এ ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না। আমি আমার কঠোর অধ্যবসায়কে অব্যাহত রাখতে চাই। প্রতিটি পিছিয়ে পড়া একটি শেখার অভিজ্ঞতা।

আপনি কি পেছনে ফিরে বিশ্লেষণ করেছেন কি ভুল ছিল?
বাস্তবিকভাবেই একজন যখন প্রচুর ব্যস্ত থাকে, তখন সে জাজমেন্ট করার প্রবণতা হারিয়ে ফেলে। তবে অবশ্যই আমি বসেছিলাম এবং আমার নিজের ওপর তা যাচাই করে দেখেছি। কিন্তু তা একজন ব্যক্তির চাইতে বেশি ছিল এবং একজন অভিনেতা হিসেবে বেশি ছিল না। আমি সবসময়ই নিরাপত্তাহীনতা বোধ করি, কারণ আমি বাস্তবে প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং আমি সর্বদা অনুভব করতাম আমি যথেষ্ঠ উপযুক্ত নই।

সে সময়ের অনুভূতি...
এ সময়ে আমি প্রচ- মর্মাহত হয়েছিলাম এবং এটা অন্যদের বলার কারণে নয়। আমি আমার নিজের সঙ্গে নেতিবাচক মাধ্যমে কথা বলি। থাগস্ অব হিন্দুস্থান ভালো করেনি, কিন্তু আমি শক্তিশালী হয়েছি। এখন আমি যদি অনুভব করি, আমি এটার জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত ছিলাম না। তাহলে অবশ্যই এটা সম্পর্কে আমার কিছু করা উচিত। বাসায় বসে না থেকে এবং মন খারাপ করে থাকলে তো তা কোনো কিছু এনে দেবে না। থাগ্স অব হিন্দুস্থানের পর এটি আমার মধ্যে আমি জাগিয়ে তুলেছি।

তাহলে পরবর্তী পরিকল্পনা কি?
আমি অনুরাগ বসুর সঙ্গে একটি মুভি করছি, যেখানে আমি রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। জানুয়ারিতে শুটিং শুরু হওয়ার পর আমি এটি নিয়ে খুব এক্সাইটেড। এটা লাইফ ইন আ মেট্রোর সিক্যুয়েল নয়, কিন্তু চারটি গল্পের একই লে-আউট রয়েছে। এটি একটি ডিফরেন্ট রোল, কিন্তু এ সময়ে যা সাধারণ (হাসি)।

দঙ্গল এবং থাগস্ এ আপনি কঠিন অ্যাকশনধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আপনি কি অন্য ঘরানার যেমন লাভ স্টোরি অথবা কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে চান?
ওহ, হ্যাঁ অবশ্যই। আমি সবসময় ভিন্ন ধরনের ড্রামা পছন্দ করি। রোমান্টিক ফ্লিকস্ উপভোগ করি আমি, বিশেষ করে ট্রাজিক লাভ স্টোরিগুলো। আমি সঞ্জয় লীলা বানশালির একজন ভক্ত। সিনেমা দেখার সময় আমি কাঁদতে পছন্দ করি। নিজেকে জড়িয়ে ফেলি, প্রতিক্রিয়া দেখাই। আমি এমন একজন যে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করি এবং বলি ‘কেয়া কার রাহা হ্যায়!’। আমি আশা করি এ বছরে বিভিন্ন রকমের চরিত্রে অভিনয় করতে পারবো।

আপনার দুটো প্রজেক্টই বিখ্যাত প্রডাকশনের বড় বাজেটের ছিল। আপনি কি তাহলে ছোট বাজেটের কন্টেন্ট নির্ভর ছবিতে কাজ করবেন না?
আমি মনে করি, আমাদের দর্শকরা এমন সিনেমাকে গ্রহণ করতে শুরু করেছে যা গতানুগতিক ধারায় প্রচলিত নয়। স্ত্রী ছবিটি দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছে। সুতরাং কনটেন্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এ বছর অনুভব করেছি স্ক্রিপ্ট একটি সিনেমার মেরুদণ্ড। কাহিনী জায়গামতো থাকলে তা অবশ্যই কাজ করবে এমনকি বড় কোনো স্টারকে কাস্ট না করলেও। এটি আমাদের ইয়াংস্টারদের প্রডিউসাররা যেভাবে দেখাতে চায়, সেক্ষেত্রে প্রচুর সুযোগ দেয়। সবমিলিয়ে এ প্রেক্ষিতে এটি সিনেমার জন্য একটি ভালো বছরই বটে, তবে আমাদের জন্য নয় (হাসি)।

 
Electronic Paper