ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক থা সা মা ন্য

বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থা নাজুক

সাজ্জাদ হোসেন
🕐 ১:০০ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৮, ২০১৯

বর্তমান সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী তানিয়া আক্তার দিপালী। বাংলা সিনেমার হালচাল নিয়ে কথা বলেছেন সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে

শুরুর কথা যদি কিছু বলতেন...
সংস্কৃতি অঙ্গনে আমার পথচলা অনেক ছোটবেলা থেকেই। মঞ্চের সঙ্গে আমার পরিচয় বাল্যকালেই। শিশু স্কুলের পড়ার সময়ে একাডেমির হয়ে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। তারপর কিশোর থিয়েটার, পিপলস থিয়েটার, অঙ্গন ললিতকলা কেন্দ্রের বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি।

মঞ্চের পর টিভি নাটকে নাকি সরাসরি সিনেমায়?
মঞ্চের পর আমি বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করি। টিভি নাটকের মাধ্যমে পর্দায় আমার পথচলা শুরু। রমিজের আয়না, বৈশাখ থেকে শ্রাবণ, কাননে কুসুম কলি, পাটিগণিত, ইট কাঁচের খাঁচা, হৈ হৈ রৈ রৈ, ঘোড়ার ডিমসহ প্রায় ৪০টির অধিক নাটকে কাজ করেছি। সেই সঙ্গে সাতকাহন নামের ধারাবাহিক একটি নাটকে অভিনয় করেছি। তারপর চলচ্চিত্রে নাম লেখাই।

চলচ্চিত্রে সূচনা কীভাবে?
‘ব্ল্যাকমেইল’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় আমার পা রাখা। এরপর ‘বাজে ছেলে : দ্য লোফার বয়’, ‘আমি তোমার হতে চাই’-এই তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।

নতুন করে নাটক করছেন না কেন?
আসলে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর নাটকে ফেরাটা একটু কঠিন। সিনেমা এবং নাটক দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। নতুন করে নাটক করছি না কিন্তু একটি ওয়েব সিরিজে কাজ শেষ করলাম। নাটক করছি না কিংবা করব না তেমন কিছু নয়। ভালো কোনো নাটকে সুযোগ পেলে আবার নাটক করার ইচ্ছা আছে।

বর্তমান কী কাজ করছেন?
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত নামের একটি বড় বাজেটের ওয়েব সিরিজে কাজ শেষ করলাম। জায়েদ রেজওয়ান ছিলেন ডিরেক্টর। ওয়েব সিরিজটিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার রণবীর। এ ছাড়া আরও দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করছি বশির আহমেদের আমার কোনো টেনশন নাই এবং সত্যরঞ্জন রোমানের আবার বৃষ্টি এলো।

ঢাকাই সিনেমার বর্তমান অবস্থা কেমন?
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান অবস্থা স্মরণকালের মধ্যে খারাপ। বিশেষ করে যারা মধ্যম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রী তারা আসলে খুব একটা ভালো নেই। বিশেষ বিশেষ সিনেমা ছাড়া হলে দর্শক টানতে পারছে না। সেই অর্থে কারও হাতেই তেমন কাজ নেই। এভাবে চলতে থাকলে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী হারিয়ে যাবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
অভিনয় করা আমার নেশা। আমি অভিনয়েই ভালোভাবে ফিরতে চাই। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, হাতে তেমন কোনো কাজ নেই। বলতে পারেন অলস সময় কাটছে। একজন অভিনেত্রীর পক্ষে যেটা অনেক কঠিন সময় বলতে পারেন। তবে আশা করছি, অল্প দিনের মধ্যেই এর একটা পরিবর্তন আসবে। এ ছাড়া ওয়েব সিরিজে কাজ করার ইচ্ছা আছে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন ফটোশুটের অফার পাচ্ছি সেগুলো করব। এক কথায় কাজের মধ্যেই থাকতে চাই।

ইদানীং অনেককেই ওয়েব সিরিজে ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে, কারণ কী?
আগেই বলেছি, সেই অর্থে ভালো সিনেমা খুব বেশি নির্মাণ হচ্ছে না। ফলে অনেকেই বিনোদনের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর নতুন প্ল্যাটফর্মকে অনেকেই গ্রহণ করছেন। বলিউডের অনেক নামিদামি নায়কও ওয়েব সিরিজ করছেন। আমাদের দেশে হলের যে অবস্থা তাতে হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যে ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান?
দর্শকদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা যদি বাংলা সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তাহলে সিনেমা হলে আসুন। সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বাংলা সিনেমা হারিয়ে যাবে। আপনারা যারা বাংলা সিনেমার দর্শক কেবল তারাই পারেন সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখতে। আমি সরকারকেও বলতে চাই, হলগুলো বাঁচিয়ে রাখতে যেন ভূমিকা রাখেন। বাংলা সিনেমায় এখন আরও বেশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।

 
Electronic Paper