বিশুদ্ধ ভালোবাসা দিয়ে হৃদয়টাকে সচল রাখব
তৌফিকুল ইসলাম
🕐 ৩:১৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
তাবিজ ফারুক তার শ্রোতাপ্রিয়তা পাওয়া ভালোবাসার গান নিয়ে কথা বলেছেন তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে।
গানের শুরুটা কীভাবে হলো?
গানে সবাই আসে সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো টার্গেট করে। আমার সে রকমভাবে গান করব মূলত, এমন কোনো টার্গেট ছিল না। ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে মূলত, গানে সময় দেওয়া।
কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন?
আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তার আগে ইন্টারে ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়েছি।
তার আগে গানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল?
ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় কলেজের ফ্রেন্ডরা গান গাইতো। ওদের কিছু গান পছন্দ হতো, আর কিছু গান পছন্দ হতো না। আমি তখন বলতাম, আমি লিরিক্স লিখি; দেখ কেমন হয়? পরে লিরিক্স লিখলাম, ভালো লাগলো। কিন্তু টিউন ভালো লাগেনি। তখন আমি বললাম, আমার টিউনটা কেমন হয় দেখ? আমার জীবনের প্রথম লিরিক্স ‘তাবিজ’। সেটার টিউনও করি আমি, ইন্টারমিডিয়েটের সময় আমি তখন গানটা করি।
‘ভালোবাসার গুষ্টি কিলাই’ গানটা তো অনেক শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছিল...
এটা আসলে জনগণের রায় বা মনের হিসাব।
এ গানটির কথাটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে, গানটির পেছনের রহস্যটা বলবেন?
কোনটা বিশুদ্ধ, কোনটা ভেজাল মানুষ সেটা বুঝতে পারে না। আমার কাছে মনে হলো, যে কোনো ছেলে বা মেয়ের জীবনে যদি চাকরি না পায় বা জীবনে কোনো একটা টার্গেটেড প্লেসে যদি পৌঁছাতে না পারে, তাহলে তারা অতটা কষ্ট পায় না। কিন্তু ভালোবাসার মানুষ যদি তার থেকে দূরে চলে যায় বা তাকে ভুল বোঝে তাহলে যে ব্যথা পায় সেটা সইতে পারে না। ওই দৃষ্টিকোণ থেকে আমার মূলত সবার প্রতি একটি মেসেজ, আমরা বিশুদ্ধ ভালোবাসা দিয়ে হৃদয়টাকে অত্যন্ত সচল রাখব। সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ হিসেবে আমার এ গানটি করা। ভেজাল ভালোবাসার গুষ্টি কিলাই।
গানটির গীতিকার ও সুরকার আপনি?
হ্যাঁ, গানটির লিরিক্স ও টিউন আমিই করেছি; গেয়েছিও আমি।
সংগীত পরিচালনা কে করেছেন?
মিউজিকও আমিই করেছি। সংগীত পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রথমবার কাজ করিয়েছিলাম, তখন মানাম আহমেদ ছিল, ইবরার টিপু ছিল, রিপন খান (হৃদয় খানের বাবা) ছিল।
অ্যালবামের নাম কি ছিল?
আমার প্রথম অ্যালবামের নাম ছিল তাবিজ, সেকেন্ড অ্যালবামের নাম ছিল ভালোবাসার গুষ্টি কিলাই।
শ্রোতাদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো স্মৃতি কি আছে?
শ্রোতাদের কাছ থেকে সরাসরি যে সাড়া পেয়েছি আমি, তা ছিল এরকম আমি যখন সিডি জোনে গেলাম তখন সেখান থেকে বলা হলো আপনার গানের পোস্টার ২০ টাকা করে বিক্রি করেছি। মানে ক্যাসেট কোথাও না পাওয়া গেলে তারা পোস্টার কিনে নিয়ে গেছে। এখনো গানটি মানুষ পছন্দ করে, কোথাও গেলে গানটি গাওয়ার জন্য প্রথম অনুরোধ থাকে। অ্যালবাম বের করার ২ বছর পর যখন এলাকায় গেলাম তখন মনে আছে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো আমার পেছনে এত লোক জড়ো হয়েছিল, আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসতে পারিনি। পরে জমি দিয়ে আমাকে রাস্তা পার হতে হয়েছে।
বর্তমানে কি কাজ করছেন?
অনেক বছর ধরে গ্যাপ আছে, ভাবছি এ বছর কিছু কাজ করব।
সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।