এ মাসেই তিনটি গান মুক্তি পাচ্ছে
তৌফিকুল ইসলাম
🕐 ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
তাহসান রহমান খান গান, নাটক, সিনেমা, তরুণদের হতাশা ও দেশের বিনোদন চর্চা নিয়ে কথা বলেছেন তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে।
বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে বলুন...
‘যদি একদিন’ সিনেমার কাজ শেষ, এখন এডিটিংয়ের কাজ চলছে। প্রমোশনের কাজও শুরু হবে শিগগিরই। অনেকগুলো গানের কাজ করলাম। নিউইয়র্কে গিয়েছিলাম কিছুদিন আগে একটি গানের শুটিংয়ের জন্য, ঢাকাতেও গানের ভিডিওর শুটিং করেছি। ‘বায়োস্কোপ’সহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য গান করেছি। এ মাসেই আমার তিনটি গান মুক্তি পাচ্ছে।
‘যদি একদিন’ সিনেমার কাহিনীতে কি দেখা যাবে?
সিনেমাটিতে অনুভূতি নির্ভর একটি গল্প রয়েছে। গল্পটা কি বলতে চেয়েছে, সেটাই সিনেমাতে ফুটে উঠবে। একজন মায়ের গল্প, মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গল্প, মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক, একজন বন্ধুর সঙ্গে আরেক বন্ধুর সম্পর্ক, প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক।
শ্রাবন্তী সম্পর্কে কি বলবেন, সে তো আপনার খুব প্রশংসা করেছে..
সে খুবই ভালো অভিনেত্রী। তার সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে বুঝেছি সে খুবই অভিজ্ঞ।
অভিনয় করতে গিয়ে গানের চর্চা কি কম হচ্ছে?
না, মোটেও কম হচ্ছে না। এ মাসেই তিনটা গান বের হবে। এখন আগের মতো অ্যালবাম নির্ভর গান হয় না। যেহেতু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নির্ভর গান বের হয়। তাই অ্যালবামের মতো ব্যাপক আয়োজন করে গান আর বের হয় না। তারপরও আমার লাস্ট তিনটা গান এক মাসেই কোটি ভিউ অতিক্রম করেছে।
বাংলাদেশের বিনোদন চর্চা এখন ঠিক কোন অবস্থানে আছে বলে মনে করেন?
বাংলাদেশের বিনোদন জগত এখন খুবই ভালো অবস্থানে আছে, তবে একথা বলার চাইতে আমি দেশের জন্য কি করতে পারছি, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে গান, নাটক, সিনেমা যা-ই করি না কেন যখন যেটা করছি সেটা ভালোভাবেই করব। কি মাধ্যমে হবে, কি দিতে পারছি। আমার অডিয়েন্স দেখছে কি না? সিনেমায়, এখন গল্পের কথা সবার আগে ভাবা হচ্ছে। আমাদের দেশের সিনেমায় ভালো গল্পের চর্চা শুরু হয়েছে।
খুব সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা দেখা গেছে। আপনাকে যেহেতু ইয়ুথ আইকন মনে করা হয়, সেহেতু হতাশাগ্রস্ত তরুণদের উদ্দেশে কি বলবেন?
শুধু তরুণ না, প্রতিটি মানুষের মাঝেই হতাশা আছে। হতাশার এ বিষয়টিকে উপলব্ধি করতে হবে। আমি একা না, এ পৃথিবীতে সবাই আসলে হতাশ। যেহেতু যুগে যুগে কোটি কোটি মানুষ এ হতাশাকে নিয়ে, সেটাকে অতিক্রম করে বেঁচে থাকতে পেরেছে; সেহেতু তুমিও পারবে। তুমি নিশ্চয়ই অন্য কারও মাঝে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে।
এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, এজন্য আপনি কি প্রাউড ফিল করেন?
প্রাউড না আমি আসলে ব্লেস্ড ফিল করি, এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই স্রষ্টার প্রতি। আমি এত কিছুর যোগ্য হয়তো ছিলাম না, তারপরও তিনি আমাকে দিয়েছেন। আমি যখন দেখি ১৬ বছর আগে আমার গাওয়া গান মানুষ এখনো শুনছে, আবার আমার এখনকার গানও শুনছে। এত বছর ধরে মানুষ আমার গান শুনছে, এর চেয়ে বড় উপহার আর কি হতে পারে?
রাঙামাটিতে একজন ভক্তের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন কোনো একটি কমার্শিয়ালের কাজে। ভক্তদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বলুন...
ভক্তের সঙ্গেই তো সম্পর্ক থাকবে। কারণ ট্যালেন্টের চাইতে উঠে আসা কঠিন। নতুনদের যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করি। মিনারের দুটো অ্যালবামের কাজ আমি করে দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, তিশা যদি ভালো গান গায়, তাহলে অবশ্যই সমাদৃত হবে। আমার কারণে যদি আরও নতুন শিল্পীরা উঠে আসতে পারে, সেটা অবশ্যই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া হবে।