ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৩ নভেম্বর টরন্টোয় বাচনিকের আবৃত্তি সন্ধ্যা

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮

টরন্টোর আবৃত্তি সংগঠন ‘বাচনিক’ আবার আসছে তাদের বাৎসরিক অনুষ্ঠান নিয়ে। আগামী ৩  নভেম্বর আবৃত্তি সন্ধ্যার আয়োজন করেছে সংগঠনটি। ‘পাঁজরে পঞ্চস্বর’ নামে বাচনিকের এবারের মূল শ্লোগান হচ্ছে- 'শাণিত হোক, প্রাণিত হোক, সত্য শব্দ কবিতা। '

কিংস্টন ও ব্রিমলি ইন্টারসেকশন সংলগ্ন ১০০ ব্রিমলি রোডের ব্লেসড কার্ডিনাল নিউম্যান ক্যাথলিক স্কুলের অডিটরিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বসবে বাচনিকের কবিতার আসর।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাচনিকের শিল্পীরা তাদের বাৎসরিক এই আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এতে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন মেরি রাশেদিন।  অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক আজাদ, সুমি রহমান, ফারহানা আহমেদ, কাজী হেলাল, এলিনা মিতা, রেজা অনিরুদ্ধ, হোসনে আরা জেমি প্রমূখ।

উল্লেখ্য, কবিতার শুদ্ধ উচ্চারণের অঙ্গীকার নিয়ে ২০১৩ সাল বাচনিক যাত্রা শুরু করে। প্রতিবছরই কেবলমাত্র কবিতা দিয়ে সাজানো একটি সন্ধ্যা তারা উপহার দিয়ে থাকেন প্রবাসীদের। প্রশংসা এবং সাফল্যের মালা গলায় পরেই পঞ্চম বর্ষে পা রাখতে যাচ্ছে বাচনিক।  তাদের এবারের আয়োজনটি হচ্ছে ৫ম বর্ষ আবৃত্তি সন্ধ্যা।

সংবাদ সম্মেলনে মেরি রাশেদিন বলেন, বাচনিকের ঠোঁট ছুয়ে আছে কবিতা, বাচনিকের কণ্ঠ ছুঁয়ে আছে কবিতা, বাচনিকের আত্মা ছুঁয়ে আছে কবিতা। তাই, গত পাঁচ বছর ধরে কবিতার ভাষায় সত্যের মন্ত্র এবং সুন্দরকে শুদ্ধ ভাবে উচ্চারণ করে আসছে বাচনিক। এবার আর এক দফা সুযোগ এসেছে বাচনিকের নিজেকে উদ্ভাসিত করার। আশা করি কাব্য এবং সত্যের মন্ত্রকে প্রতিটি হৃদয়ের মাঝে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দিতে এবারও সফল হবে বাচনিক।

ম্যাক আজাদ বলেন, বাচনিকের কবিতা সন্ধ্যায় প্রতীকী একটি প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে। মাত্র ৫ ডলারের এই প্রবেশমূল্যটি ধরা হয়েছে সকল দর্শক শ্রোতাকে এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে। তিনি বাচনিকের ৫ম বছরের কবিতা সন্ধ্যায় কমিউনিটির সকলকে অংশ নেওয়ার  আহ্বান জানান।

কাজী হেলাল বলেন, কেবলমাত্র কবিতা দিয়ে অনুষ্ঠান সাজানোর মাধ্যমে আমরা কবিতাকে বিনোদনের, সংস্কৃতির প্রধান উপাদান হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝে একটা দুইটা কবিতা আবৃত্তি থাকতো। অনেকটা সিনেমার আইটেম সং এর মতো। কিন্তু বাচনিক কেবল কবিতা দিয়ে অনুষ্ঠান সাজিয়ে প্রমাণ করেছে- টরন্টোর দর্শক শ্রোতারা শুদ্ধ বিনোদন এবং সংস্কৃতি চর্চাকে ভালোবাসেন।

রেজা অনিরুদ্ধ বলেন, শহরের নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনে নানা রকম উদ্দেশ্য থাকে, কিন্তু বাচনিকের বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নেই। কবিতাকে সবার হৃদয়ে নিয়ে যাওয়ার আকাংখা নিয়ে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চাকে কমিউনিটির সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই বাচনিক পাঁচ বছর ধরে এই আয়োজন করে যাচ্ছে।

এলিনা মিতা বলেন, কেবলমাত্র কবিতা নিয়ে প্রবাসে অনুষ্ঠান করা যে কত কষ্টের তা আয়োজকরাই টের পান। তিনি বলেন, বিভিন্ন মেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আগাম ঘোষণা দিয়ে স্পন্সররা স্পন্সর করতে আসেন। কিন্তু কবিতার অনুষ্ঠানের জন্য স্পন্সর পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তিনি কমিউনিটির ব্যবসায়ীদের শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রধান মাধ্যম কবিতার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

 
Electronic Paper