আমিরাতে ৬ মাসের ভিসা সংগ্রহকারীদের সতর্কবার্তা
আব্দুল্লাহ আল শাহীন, ইউএই
🕐 ১০:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৩, ২০১৯
২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে প্রথমে তিন মাসের এবং পরে আরও দুই মাস সময় বৃদ্ধি করে মোট ৫ মাসের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছিল আরব আমিরাত সরকার। ‘বৈধতা নিশ্চিত করে নিজেকে সুরক্ষিত করুন’-স্লোগানে ঘোষিত সময়ের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীদের নামমাত্র ফি দিয়ে কাগজপত্র বৈধ করা অথবা জেল-জরিমানা ছাড়াই আমিরাত ছাড়ার সুযোগ ছিল।
দূতাবাসের তথ্য মতে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী পাসপোর্ট জটিলতার সমাধান পেয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কতজন প্রবাসী ভিসা লাগাতে পেরেছেন বা সাধারণ ক্ষমায় কতজন দেশে গেছেন তার কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি। এদিকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগে যারা ছয় মাসের ‘জবছিকার’ ভিসা সংগ্রহ করেছেন তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজের সন্ধান করে ভিসা লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছে আমিরাত সরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্য ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (এফএআইসি) স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে, জবছিকার ভিসা কেবলমাত্র কাজের সন্ধান করে বৈধতার জন্য দেওয়া হয়েছে। এই ভিসা দিয়ে কাজ করা যাবে না। জবছিকার ভিসা সংগ্রহকারীদের কেউ যদি নতুন ভিসা না লাগিয়ে কাজ করে প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হন তাহলে তাকে ৫০ হাজার দিরহাম জরিমানা দিতে হবে। একই ব্যক্তি যদি নতুন ভিসা না লাগিয়ে দ্বিতীয়বার ধরা পড়েন তাহলে জরিমানা ১ লাখ দিরহামে গিয়ে দাঁড়াবে। শুধু তাই নয় তাকে আমিরাতে আজীবন নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
এ ছাড়াও ৬ মাসের মধ্যে যদি নতুন কাজের সন্ধান না পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই দেশে চলে যেতে হবে প্রবাসীদের। পরবর্তীতে চাইলে কোনো রকম সমস্যা ছাড়াই ভিজিট ভিসায় আসতে পারবেন। জবছিকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সময় বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যে নতুন ভিসা না লাগিয়ে দেশটিতে কেউ অবস্থান করলে তাকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।