প্রিয় বিজ্ঞানী
অর্ক রায় সেতু
🕐 ১১:১২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
বই লিখে জনপ্রিয়তা ও প্রথম শ্রেণির লেখকের তালিকায় নাম প্রকাশ করেছেন বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানী। সারা বিশ্বে ঝড় তোলা তুমুল আলোচিত নোবেলের রাস্তায় মুখ দেখিয়েছে অনেকেই। সে রকম তথ্যে ঠাসা তরুণদের প্রিয় বিজ্ঞানীর কথা জানাচ্ছেন - অর্ক রায় সেতু
জাবির ইবনে হাইয়ান
তিনি এক অন্য রকম মানুষ যিনি তৈরি করতে পারতেন স্বর্ণ ও পরশপাথর। কিন্তু তিনি স্বর্ণ কিংবা পরশপাথরের লোভী ছিলেন না। তিনি হলেন জাবির ইবনে হাইয়ান। যাকে রসায়ন শাস্ত্রের জনক বলা হয়। তিনিই প্রথম বস্তুজগৎকে স্পিরিট, ধাতু, যৌগিক পদার্থ এই তিনভাগে ভাগ করেন। তিনি কর্পূর, আর্সেনিক, অ্যামোনিয়া ক্লোরাইড এর মতো এমন সব বস্তু বিশ্ব সভ্যতার সঙ্গে তুলে ধরেন যা তাপ দিলে বাষ্পায়িত হয়। নির্ভেজাল বস্তুর পর্যায়ে তিনি তুলে ধরেন সোনা, রুপা, লোহা, তামা, দস্তা প্রভৃতি। পাতন, ঊর্ধ্বপাতন, দ্রবণ, কেলাসন, গলন ইত্যাদি রাসায়নিক সংশ্লেষণ সম্পর্কে তিনিই প্রথম ধারণা দেন। তিনি বিজ্ঞানে যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে শতাব্দীর পর শতাব্দী। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই তার নাম জানে না, অথচ তার মৌলিক আবিষ্কারের ওপরই বর্তমান বিজ্ঞানের অধিষ্ঠান।
সুদীপ্ত বণিক
সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম।
জগদীশ চন্দ্র বসু
বিজ্ঞানের বিস্ময়কর ব্যক্তি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একজন বাঙালি বিজ্ঞানী। তার গবেষণার প্রধান দিক ছিল উদ্ভিদ ও তড়িৎ চৌম্বক। তার আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে উদ্ভিদের বৃদ্ধিমাপক যন্ত্র ক্রেস্ফোগ্রাফ। উদ্ভিদের দেহের উত্তেজনার বেগম নিরূপক সমতল তরুলিপি যন্ত্র বিজোনাস্ট রেকর্ডার। গবেষণাগারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়াই জগদীশ চন্দ্র ইলেকট্রিক রেডিয়েশন বিষয়ে গবেষণা করতেন। এই সময় জগদীশ চন্দ্র বিনা তারে তরঙ্গের মাধ্যমে শব্দকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কীভাবে পাঠানো যায় সেই বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন।
আমেরিকায় বিজ্ঞানী লজ, ইতালিতে মার্কনী ও জগদীশ চন্দ্র এ বিষয়ে অগ্রণী। ১৮৯৭ সালে তার উদ্ভিদ বিষয়ক যুগান্তকারী গবেষণা আরম্ভ করেন। ১৯০০ সালের জুলাই মাসে তিনি প্যারিসে জীব ও জড়ের ওপর বৈদ্যুতিক সাড়ার একাত্মতার বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ও রয়েল সোসাইটিতে তার উদ্ভাবিত যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করেন, জীবদেহের মতো বৃক্ষেরও প্রাণ আছে, তারাও আঘাতে উত্তেজনায় অনুরণিত হয়।
স্বপ্নীল চৌধুরী শান্তা
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি।
এডওয়ার্ড জেনার
এডওয়ার্ড জেনার ছিলেন একজন ইংরেজ চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক, যিনি গুটিবসন্ত রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথিকৃৎ, যেটি হলো এই পৃথিবীর প্রথম ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিনেশন শব্দ দুটি এসেছে ভ্যারিওলা ভ্যাকসিনের শব্দ থেকে, যেটি দ্বারা জেনার গরুর পক্সকে নির্দেশ করেছিলেন। জেনারকে প্রায়শই রোগ প্রতিরোধ বিদ্যার জনক বলা হয় এবং এটিও বলা হয় তিনি অন্য যে কারও থেকে বেশি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছেন। জেনারের সময় ব্রিটিশ জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিল।
যে সংখ্যাটা শুধু শহরেই ছিল ২০ পার্সেন্ট পর্যন্ত বেশি, সংক্রমণ সহজেই হওয়া ছিল যার প্রধান কারণ। ১৮২১ সালে জেনার রাজা চতুর্থ জর্জের প্রধান চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান। সঙ্গে সঙ্গে বার্কেলের মেয়র ও ‘জাস্টিস অব দ্য পিস’ এর পদেও অভিষিক্ত হন। ২০০২ সালে বিবিসি জেনারকে ১০০ গ্রেট ব্রিটন্স এর তালিকায় স্থান দেয়।
তাসমিয়াহ আক্তার
সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম।
জানাকি আম্মাল
পুরো নাম জানাকি আম্মাল এডাভ্যালাথ কক্কট। যে সময় পর্দার আড়ালে অবনত থাকা ভারতীয় মহিলাদের একমাত্র ভবিষ্যৎ ছিল, সেই সময় লন্ডন একা পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি।
তিনিই প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে লন্ডনের রয়্যাল হর্টিকালচার সোসাইটিতে গবেষণার কাজ করেছিলেন। বংশগতি বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করার সময় ম্যাগনেলিয়ার মতো গাছের সদ্য অঙ্কুরিত চারায় কোলসিসাইন প্রয়োগ করেছিলেন। নতুন এই ফুল “ম্যাগনেলিয়া কোবাস” এর বীজ দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন ব্যাটেলস্টোন পাহাড়। তার সম্মানে ম্যাগনেলিয়ার নাম হলো “আম্মাল”। স্বাধীনতার পর তিনি ভারতবর্ষে ফিরে “বোটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া” পুনর্গঠন করলেন। ঘাস, সঙ্কর প্রজাতির বাঁশ নিয়ে তার গবেষণা যুগান্তকারী। বাগানের উদ্ভিদের ক্রোমোজম নিয়ে কাজ করেন। ১৯৭৭ সালে ভূষিত হন “পদ্মশ্রী” সম্মানে উদ্ভিদবিদ্যায় তার অবদান স্মরণে ২০০০ সালে তিনি ট্যাক্সনমিতে জাতীয় পুরষ্কার লাভ করেন।
দেবযানী সেনগুপ্তা
ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228